স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির অপসারণের দাবি গণসংহতি আন্দোলনের

‘স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার’ দায়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে সচিবালয়ের সামনে দুই ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচি পালন করে গণসংহতি আন্দোলন। ছবি: পলাশ খান

‘স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার’ দায়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে সচিবালয়ের সামনে দুই ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচি পালন করে গণসংহতি আন্দোলন। এ সময় তারা দুর্নীতির পেছনের ‘রাঘব বোয়ালদের’ অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি তার বক্তৃতায় অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দুজনই দুর্নীতিবাজদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। আর, এখন ‘অব্যবস্থাপনার’ জন্য তারা একে অপরকে দোষ দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘এ খাতে এত দুর্নীতি সত্ত্বেও, দুজনই এখনও তাদের স্বপদে বহাল রয়েছেন। তাদের অপসারণ না করলে এই ব্যর্থতার দায় প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনা পরীক্ষার সনদ জালিয়াতি করা মানে গণহত্যা। এই জালিয়াতির কারণে করোনাভাইরাস সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘অচলাবস্থা বুঝতে পেরে ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতা এবং সরকারের মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে। দেশে যখন অর্থনৈতিক সঙ্কট চলছে, তখন অর্থমন্ত্রী দেশে নেই। সে কেন দেশ ছাড়ল? কীভাবে গেল? আমরা জানি না।’

অন্যান্যদের মধ্যে এই কর্মসূচীতে অংশ নেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ এবং সম্প্রতি বিলুপ্ত ডাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নূর।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago