পাঁচ বছর বসে থাকলেও আমার ওজন বাড়বে না: শফিউল

ছবি: বিসিবি

চার মাসেরও বেশি সময়ের এ গৃহবন্দী জীবনে প্রত্যেকটা খেলোয়াড়েরই বড় দুশ্চিন্তা ছিল ফিটনেস নিয়ে। লম্বা সময় মাঠে না থাকলে মুটিয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই ঘরে বসেই কম বেশি চেষ্টা করেছেন নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে। তবে এ নিয়ে অবশ্য খুব বেশি দুশ্চিন্তায় ছিলেন না পেসার শফিউল ইসলাম। কারণ ঘরে যতোই বসে থাকেন না কেন, কখনোই তার বাড়ে না বলেই জানালেন এ পেসার।

চার মাসেরও বেশি সময় পর আজ রোববার (১৯ জুলাই) ফের মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পা পড়েছে ক্রিকেটারদের। যদিও এদিন অনুশীলনে ছিলেন মাত্র তিনজন। মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনের পর এদিন অনুশীলনে যোগ দেন শফিউলও। প্রথম দিনে কেবল রানিংই করেছেন এ পেসার। তবে তাতেও কিছুটা অস্বস্তিতে ভুগেছেন বলে জানালেন তিনি। লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকার কারণেই এমনটা হয়েছে তার।

আর শফিউলের এমন কথা স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে তাহলে কি ওজন কিছুটা বেড়েছে শফিউলের? আর এমন প্রশ্নের উত্তরে ডেইলি স্টারকে মজা করেই তিনি বলেন, 'আরে না, আমার ওজন বাড়ে না। আমি পাঁচ মাস কেন, পাঁচ বছরও বসে থাকলে আমার ওজন বাড়েও না, কমেও না। একটা নির্দিষ্ট জায়গায় থাকে। আমার ওজনটা স্বাভাবিক একটা পর্যায় আছে... মানে এমনই থাকে।'

লম্বা সময় গৃহবন্দী থাকার কারণেই এ অস্বস্তি। শরীরের গঠন আগের মতো থাকলেও ম্যাচ ফিটনেসের অভাবটা টের পাচ্ছেন। তবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তা ফিরে পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শফিউল, 'বর্তমানে যে অবস্থাতেই থাকি না কেন উন্নতি হবে। কাজ করলে সবারই হয়। হ্যাঁ এখন হয়তোবা একটু কষ্ট হচ্ছে। আর দুই একদিন, এরপর সব ঠিক হয়ে যাবে।'

তবে শুরুটা করতে কিছুটা কষ্ট হলেও দীর্ঘদিন পর ফেরায় দারুণ খুশী এ পেসার, 'মাঠে ফেরার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। চার পাঁচ মাস পর মাঠে ফিরতে পেরেছি, অবশ্যই অনেক ভালো লেগেছে। কষ্টও হয়েছে। অনেক দিন পরে তো। তবে অনুশীলন করে তৃপ্তি পেয়েছি। ঘরে যাই করেছি, এভাবে তো করার সুযোগ পাইনি।'

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

5h ago