এমএফআইকে আমানত গ্রহণের অনুমতি দিন: ভারতের প্রতি ড. ইউনূস

ভারতের ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো (এমএফআই) যেন জনগণের আমানত জমা রাখতে পারে, তার অনুমতি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: স্টার

ভারতের ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো (এমএফআই) যেন জনগণের আমানত জমা রাখতে পারে, তার অনুমতি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল রোববার রাতে ‘প্যানআইআইটি গ্লোবাল ই-কনক্লেভ’ শীর্ষক সম্মেলনে বক্তৃতায় তিনি এ পরামর্শ দেন বলে জানিয়েছেন দ্য ডেইলি স্টার নয়াদিল্লী সংবাদদাতা।

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূস বলেন, বর্তমানে মাইক্রো ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউট (এমএফআই) গুলোকে অর্থের জন্য ব্যাংকের কাছে যেতে হয়। ভারত সরকারের কাছে আমার আবেদন, এমএফআইগুলোকে জনগণের কাছ থেকে আমানত গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হোক।

তিনি বলেন, ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক (আরবিআই) কিছু স্মল ফাইন্যান্স ব্যাংক খোলার অনুমতি দিয়েছে, যারা আমানত রাখতে পারে।

‘বিনিয়োগ হচ্ছে অর্থনীতির অক্সিজেন। ব্যাংকিং ব্যবস্থা দরিদ্রদের ঋণ দিতে আগ্রহী নয়। আর তাই তাদের জন্য একটি বিকল্প ব্যাংকিং ব্যবস্থা তৈরি করা উচিত,’ বলেন ড. ইউনূস।

তিনি বলেন, যেহেতু এমএফআই মানুষের কাছ থেকে আমানত নিতে পারে না তাই ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন ব্যাংক (সিআইডিবিআই) এবং জাতীয় কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন ব্যাংক (নাবার্ড) এর কাছ থেকে ঋণ নেয়।  সুবিধাভোগীদের জন্য এর বোঝা অনেক ভারী হয়ে যায়।

উজ্জীবন ও জানার মতো বেশ কয়েকটি ভারতীয় এমএফআই, আরবিআই এর নিবন্ধিত হয়ে এখন ছোট ফাইনান্স ব্যাংকে রূপান্তরিত হয়েছে।

এমএফআইগুলো ‘লোন শার্ক’ হয়ে উঠতে পারে এমন উদ্বেগের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, এই খাতকে ‘সামাজিক ব্যবসা’ হিসাবে সংজ্ঞায়িত এবং শূন্য লভ্যাংশ প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago