জিদানের সাবেক সতীর্থকে কোচ বানাতে চায় বার্সা

এক সময়ে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জিনেদিন জিদানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলেছেন একই তাঁবুতে। ফ্রান্সের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ে অবদান রেখেছেন। রেখেছেন ২০০০ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জয়েও। জিদানের সেই সতীর্থ লরাঁ ব্লাঁ এবার বার্সেলোনার কোচ হয়ে আসার তালিকায় রয়েছেন। আর শেষ পর্যন্ত তা হলে সাবেক দুই সতীর্থকে দেখা যাবে দুই চিরশত্রু শিবিরে। এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে স্পেনের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম স্পোর্ত।

চলতি মৌসুমে লা লিগার শিরোপা হাতছাড়া করেছে বার্সেলোনা। আর এরজন্যে অনেকেই দুষছেন কোচ কিকে সেতিয়েনকে। সঠিক পরিকল্পনা সাজাতে পারেননি বলেই তোপ দাগিয়েছেন অনেকেই। বাদ যাননি খেলোয়াড়রাও। ফলে তার চাকুরী থেকে ছাঁটাই করা অনেকটাই সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও এ বছরেরে শুরুতেই বার্সা শিবিরে যোগ দিয়েছেন সেতিয়েন।

সংবাদ অনুযায়ী, এবারও বার্সেলোনার প্রথম পছন্দ ছিল ক্লাবের সাবেক তারকা জাভি হার্নান্দেজই। তবে এ মুহূর্তে বার্সার দায়িত্ব নিতে নারাজ তিনি। তার উপর কদিন আগেই কাতারের ক্লাব আল সাদের সঙ্গে আরও এক বছর চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছেন ৪০ বছর বয়সী জাভি। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী তারকা লরাঁ ব্লাঁকেই চাইছে বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ।

তবে সব কিছুই নির্ভর করছে বার্সেলোনার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফলাফলের উপর। কারণ এ লিগে দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারলে টিকে যেতে পারেন সেতিয়েন। অন্যথায় এক মৌসুমের জন্য ব্লাঁকে বার্সার ডাগআউটে দেখা যেতেও পারে। আর জানা গেছে এক বছরের জন্য বার্সেলোনার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য রাজীও হয়েছেন ব্লাঁ। তার বিশ্বাস এ সময়ে মধ্যেই ক্লাবকে তিনি সঠিক পথে পরিচালনা করতে পারবেন।

এদিকে, ঘরের মাঠে দুর্বল প্রতিপক্ষ ওসাসুনার কাছে ১-২ গোলের ব্যবধানে হারার পর দলে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন মেসি। পরে ভিন্ন আরেকটি সংবাদ অনুযায়ী জানা যায়, বর্তমান বার্সেলোনার একাডেমীর ডিরেক্টর প্যাট্রিক ক্লুইভার্টকে কোচ হিসেবে চাইছেন তারা। এ ডাচ তারকাও রয়েছেন অন্তর্বর্তী কালীন সময়ের জন্য কোচের সংক্ষিপ্ত তালিকায়।

ফুটবল ছেড়ে দেওয়ার পর ২০০৭ সালে ফরাসি ক্লাব বোর্দোর কোচ হিসেবে যোগ দেন ব্লাঁ। ফ্রান্স জাতীয় দলের কোচ ছিলেন তিনি। ২০১০ বিশ্বকাপ ও ২০১২ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ তার অধীনেই খেলেছে ফরাসিরা। তবে ইউরো ব্যর্থতায় পরে সরে দাঁড়ান তিনি। এরপর ২০১৩ সালে ফ্রান্সের শীর্ষস্থানীয় ক্লাব পিএসজির কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন তিন বছর। জাতীয় দলের হয়ে ব্যর্থ হলেও ক্লাব ক্যারিয়ারে দারুণ সফল ব্লাঁ। পিএসজির হয়ে টানা তিন মৌসুমে লিগ শিরোপা জয়ের সঙ্গে মোট ১১টি শিরোপা জিতেছেন তিনি। বোর্দোর হয়েও লিগ ৪টি শিরোপা জিতেছেন তিনি।