ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি: ২ মামলায় ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
ভূমধ্যসাগরে গত বছর ১০ মে নৌকাডুবিতে অভিবাসন প্রত্যাশী ৩৯ বাংলাদেশি নিখোঁজের ঘটনায় দুই মামলায় ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ বৃহস্পতিবার সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মানবপাচার মামলা এবং জেলা দায়রা জজ আদালতে অর্থপাচার মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন সিআইডির ইকোনমি ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক মো. শহীদুল ইসলাম খান।
অভিযুক্তরা হলেন, সিলেটের নিউ ইয়াহিয়া ওভারসিজ এর স্বত্ত্বাধিকারী এনামুল হক এনাম, গোলাপগঞ্জের জায়েদ আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আব্দুর রাজ্জাক ভুঁইয়া, নোয়াখালির মনজুর হোসেন রুবেল, ইয়াকুল রিপন এবং নাসির উদ্দিন রুমান ওরফে গুডলাক।
সিআইডির পরিদর্শক শহীদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে এনামুল হক ও
আব্দুর রাজ্জাক কারাগারে আছেন, বাকিরা পলাতক।
এছাড়াও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাইফুল ইসলাম নামের একজনকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন এই চক্র ইউরোপে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মানুষকে লিবিয়া নিয়ে জিম্মি করে পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায় করতো এবং পরে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই নৌকায় উঠিয়ে ইতালির উদ্দেশ্যে ভূমধ্যসাগরে ছেড়ে দিতো।
গত বছর ১০ মে রাতে ভূমধ্যসাগর দিয়ে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে তিউনিশিয়া উপকূলের কাছে নৌকাডুবিতে ৩৯ বাংলাদেশিসহ অন্তত ৬৫ জন নিখোঁজ হন।
পরে ১৬ মে রাতে এনামুল হক, আব্দুর রাজ্জাকসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত
১৩-১৪ জনকে আসামি করে সিলেটের ফেঞ্জুগঞ্জ থানায় মামলা করেন নৌকাডুবিতে নিখোঁজ আব্দুল আজিজের ভাই মফিজ উদ্দিন।
আব্দুল আজিজের সঙ্গে তার এক চাচাতো ভাই এবং এক ফুফাতো ভাইও নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হন এবং চাচা বেলাল আহমেদকে জীবিত উদ্ধার করে তিউনিশিয়ান কোস্টগার্ড।
মামলার পরদিনই ঢাকা থেকে এনামুল ও রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এ দুটি মামলা পরে তদন্তের জন্য সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয় এবং সিআইডির ইকোনমি ক্রাইম
স্কোয়াড প্রায় এক বছর তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
Comments