মাঠের স্পর্শ পেয়েই রোমাঞ্চিত তাসকিন

খুব বেশি কিছু করার সুযোগ ছিল না। পেসার হওয়ায় মাঠে এসে আপাতত কেবল জিম আর রানিং করতে পারতেন তাসকিন আহমেদ। তবে এতদিন পর প্রিয় মাঠের স্পর্শ পেতেই বেশি তাড়নাবোধ করেছেন তিনি। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারাই তাই বড় স্বস্তি তার কাছে।
Taskin Ahmed
ছবি: বিসিবি

খুব বেশি কিছু করার সুযোগ ছিল না। পেসার হওয়ায় মাঠে এসে আপাতত কেবল জিম আর রানিং করতে পারতেন তাসকিন আহমেদ। তবে এতদিন পর প্রিয় মাঠের স্পর্শ পেতেই বেশি তাড়নাবোধ করেছেন তিনি। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারাই তাই বড় স্বস্তি তার কাছে।

দেশের চার ভেন্যুতে গত রোববার থেকে শুরু হয় ৯ ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত অনুশীলন। তাদের সঙ্গে তাসকিনসহ যুক্ত হয়েছেন আরও তিনজন।

বৃহস্পতিবারই প্রথম আসেন তাসকিন। করোনা মহামারির সময়ে স্থবিরতার ধকল কাটিয়ে রানিং করেন এই ডানহাতি পেসার। চার মাসের বেশি সময়ের পর চেনা আবহ পেয়ে উদ্বেল তিনি, ‘অনেক ভালো লাগছে। কারণ, এতদিন পরে স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারলাম। অবশ্যই রানিং করে ভালো লাগছে কিন্তু এর চেয়েও বেশি ভালো লাগছে স্টেডিয়ামে ঢুকতে পেরেছি বলে। ড্রেসিং রুমে এতদিন পর ঢোকা...আসলেই অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে।”

‘বাসায় থেকে যতটুকু পেরেছি অনুশীলন করেছি, কিন্তু মিরপুরে স্টেডিয়ামে আসার সুযোগ হয়নি। আজকে যখন প্রায় ৫ মাস পর মিরপুর স্টেডিয়ামে ঢুকলাম খুব স্বস্তি লাগছে।’

পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে দিনের বড় অংশই যেখানে কাটত মাঠে। করোনার কারণে সেই মাঠ হয়ে গিয়েছিল নিষিদ্ধ। ঘরবন্দি সময়ে তাই হাঁপিয়ে উঠেছিলেন তাসকিন। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ দেখে আশার আলো তার মুখে, ‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে অনেকদিন খেলতে না পারা, ঘরে থাকা মানে...একঘেয়েমি চলে আসছিল। আমার কাজই খেলাধুলা কিন্তু আমি খেলতে পারছি না। অনেকেরই নিজেদের চাকরি শুরু হয়েছে, বিভিন্ন কাজ শুরু হয়েছে কিন্তু আমার খেলাই বন্ধ; তো অবশ্যই খারাপ লাগছে। যত দ্রুত খেলায় ফেরা যায় আর দেশে পরিস্থিতিও যেন ভালো হয় সেই কামনা করছি।’

মহামারির বিশেষ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম মেনে ক্রিকেটারদের অনুশীলনের ব্যবস্থা করায় বোর্ডকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন ২৫ বছর বয়েসী পেসার, ‘অনুশীলনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তো বিসিবিকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। এর বাইরে ব্যক্তিগতভাবে বাসায় ফিটনেস নিয়ে কাজ করার জন্য যে যেমন চেয়েছে সাইকেল, ওয়েট সরঞ্জাম তাদের বাসায় পাঠানো হয়েছে। তো এটার জন্যও অসংখ্য ধন্যবাদ। তো বিসিবি তাদের তরফ থেকে যতটুকু পারছে করছে। এখন শুধু আমাদের সাবধানতা মেনে চলা দরকার। আমি নিশ্চিত সবাই এটা করছে।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago