ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে ঈদযাত্রা পরিহারের আহ্বান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর
ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে ঈদযাত্রা পরিহার করতে যাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ডিআরইউ’র প্রয়াত সদস্যদের স্মরণসভা ও পরিবারের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী, ‘জীবনে অনেক ঈদ পাওয়া যাবে। ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে চলাচল করবেন না।’
এ সময় সাংবাদিকদের নেতিবাচক নয়, ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানান তিনি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেখানে রিপোর্টার্স ইউনিটি পিছিয়ে থাকতে পারে না। গণমাধ্যম সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ। গণমাধ্যমকে বাদ দিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। উন্নত দেশে এগিয়ে যেতে গণমাধ্যমে নেতিবাচক নয়, ইতিবাচক সংবাদ দেখতে চাই। কাজ করতে গেলে ভুলক্রটি থাকবে। ভুলক্রটিগুলো ইতিবাচক সংবাদধারায় এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
ডিআরইউ’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ডিআরইউ’র সহ-সভাপতি নজরুল কবির, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলিমুল আলম বিপ্লব, অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ, কল্যাণ সম্পাদক এম সাইফুল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল খায়ের, সানরাইজ ইন্সুরেন্সের ডিএমডি সাহাবুদ্দিন সরকার, প্রয়াত হুমায়ুন কবির খোকনের স্ত্রী শারমিন সুলতানা রিনা এবং খোন্দকার মহিতুল ইসলামের সহধর্মিণী খাদিজা ইসলাম। ডিআরইউ’র সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রয়াত চারজনের প্রত্যেক পরিবারের মাঝে গ্রুপ বীমার দু’লাখ এবং ডিআরইউ’র কল্যাণ তহবিলের এক লাখসহ মোট তিন লাখ টাকা করে অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়। প্রয়াত সদস্য আজাদ হোসেন সুমন, হুমায়ুন কবির খোকন, খোন্দকার মহিতুল ইসলাম ও আসলাম রহমানের পরিবারের সদস্যরা চেক গ্রহণ করেন।
প্রয়াত বাকি তিন সদস্যের পরিবারের মাঝে পরবর্তীতে অনুদানের চেক প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে দুজন সদস্যকে দেড় লাখ টাকা করে চিকিৎসা অনুদানের চেক দেওয়া হয়। চিকিৎসা অনুদানের চেক গ্রহণ করেন বাংলাদেশ অবজারভারের জীবন ইসলাম এবং আলোকিত বাংলাদেশের আফরোজা নাজনীন।
‘অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে-একথা যারা বলেন’ তাদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যায়নি। ৫ লক্ষাধিক কোটি টাকার বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। গত অর্থ বছরে ৯০ ভাগ বাজেট বাস্তবায়ন করা হয়েছে। নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতুর কাজ চলছে, সাংবাদিকদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের বেতন দেয়া হচ্ছে।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখছি। সে স্বপ্ন পূরণে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে।’
Comments