ছেলেকে লুকিয়ে রেখে ‘অপহরণ মামলা’ করেছিলেন বাবা
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের কিশোর বয়সী ছেলেকে লুকিয়ে রেখে অপহরণ মামলা দায়ের করেছিলেন হবিগঞ্জের এক ব্যক্তি। পুলিশ ভুক্তভোগী কিশোরকে উদ্ধার করার পর এই ঘটনার আসল তথ্য জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে।
গতকাল শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার কেওয়া মাওয়া এলাকার এমএম স্পিনিং মিল লিমিটেড থেকে তোফাজ্জল ইসলাম নামে ১১ বছর বয়সী ভুক্তভোগী কিশোরকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হকের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করেন বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ উল্লাহ।
চুনারুঘাট থানার ওসি শেখ নাজমুল হক বলেন, ‘গত বছরের ৩০ শে জানুয়ারি চুনারুঘাট থানার বাগিয়ারগাঁও গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র মো. ওয়াহিদ মিয়া তার ১১ বছরের ছেলে তোফাজ্জল ইসলামকে একই গ্রামের রমিজ আলী গংরা অপহরণ করেছেন— এমন অভিযোগে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত চুনারুঘাট থানাকে এ ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দেন। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশ ও নিবিড় তত্ত্বাবধানে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে চুনারুঘাট থানার পুলিশ মামলাটির রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়।’
‘পিতা কর্তৃক সাজানো অপহরণ নাটকের ভুক্তভোগী তোফাজ্জল ইসলামকে গতকাল রাতে গাজীপুর ওই মিল থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর তোফাজ্জল ইসলাম জানায়, সে গত ছয় মাস যাবৎ ওই মিলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিল এবং মামলার বাদী তার বাবা তাকে লুকিয়ে রেখে এই মামলাটি দায়ের করেন’, বলেন তিনি।
ওসি আরও বলেন, ‘১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আমরা ভুক্তভোগী কিশোরকে আদালতে পাঠিয়েছি। জবানবন্দি শেষে এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।’
Comments