কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ও বাংলাদেশ

Vaccine
ছবি: সংগৃহীত

চলমান কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধে বিশ্বজুড়ে কমবেশি ১৬০টি কোম্পানি টিকা উদ্ভাবনের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। চীনের একটি কোম্পানির উদ্ভাবিত টিকা ইতোমধ্যেই সে দেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের দেওয়া শুরু হয়েছে।

চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানির কয়েকটি কোম্পানি মানবদেহে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করেছে।

যুক্তরাজ্যের আ্যস্ট্রা-জেনেকা ও চীনের ক্যানসিনো ভ্যাকসিন তৃতীয় পর্যায়ে ট্রায়ালের গবেষণায় আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গিয়েছে।

অনুমোদন লাভের পর বিশ্বজুড়ে মানবদেহে প্রয়োগের জন্য প্রায় সাত বিলিয়ন টিকা উৎপাদন করতে হবে, যা একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ।

স্বাভাবিকভাবেই যে দেশের ওষুধ কোম্পানি এটি উৎপাদন করবে সেই দেশের চাহিদা মিটানোর পর অন্য দেশে রপ্তানি করবে।

তবে উদ্ভাবক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে যৌথভাবে এই টিকা অন্য যে কোনো কোম্পানির উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে।

ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের কয়েকটি ওষুধ কোম্পানি চীন, ব্রিটেন ও আমেরিকার সম্ভাব্য উদ্ভাবক কোম্পানির সঙ্গে উৎপাদনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

বাংলাদেশ চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সিদ্ধান্তের অভাবে বিষয়টি নিয়ে অহেতুক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

এই ট্রায়ালে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে গ্লোবাল রিসার্চে যোগ দেওয়ার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের।

ট্রায়ালে অংশগ্রহণের সুযোগটি হাতছাড়া করা উচিত হবে না। শুধুমাত্র ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করে বিনামূল্যে টিকা লাভের আশায় বসে না থেকে সম্ভাব্য টিকা উদ্ভাবক একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশীয় কোম্পানির মাধ্যমে টিকা উৎপাদনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি চিন্তাভাবনা করা উচিত।

ডা. এম আর করিম রেজা, ত্বক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago