খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষির অগ্রগতি অব্যাহত রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এসডিজি) অর্জনের প্রয়াস চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও কৃষিতে অর্জিত উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস আমাদেরকে কিছুটা পিছিয়ে দিলেও, আমাদের জনগণ যাতে খাদ্য সংকটে না ভোগে তা নিশ্চিত করতে মহামারির মধ্যেও কৃষিতে অর্জিত উৎপাদন বৃদ্ধির যে ধারা তৈরি হয়েছে তা বজায় রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক)-এর নির্বাহী কমিটির সাপ্তাহিক বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এ সময়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গণভবনে উপস্থিত ছিলেন। একনেকের অন্য সদস্যরা রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি কনফারেন্স রুম থেকে বৈঠকে সংযুক্ত হন।
একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা গত ১১ বছরে কৃষিখাতের উন্নয়নে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ বিশদভাবে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সারের দাম কমানো, ভালো মানের বীজ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহসহ কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২ কোটি কৃষককে কৃষি উপকরণ সরবরাহ করার জন্যে কার্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া, ১ কোটি কৃষক ১০ টাকা করে জমা দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খুলেছেন।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর একাধিকবার সারের মূল্য কমিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি শাসনামলে প্রতি কিলোগ্রাম ডিএপি সারের মূল্য ছিল ৯০ টাকা। কিন্তু এখন কৃষকেরা সেই সার পাচ্ছেন ১২ টাকায়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আরো উল্লেখ করেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ দলের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা ও কর্মীরা বোরো মৌসুমে ধান কাটায় কৃষকদের সহায়তা করেছে।
তিনি ধান কাটার সময়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে দলের যে সকল নেতা-কর্মী মারা গেছেন তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য। আমরা যদি সবার ঘরে খাবার নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে অন্যান্য সমস্যার সমাধানও করা যাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ এর আঘাত সত্ত্বেও এসডিজি অর্জনে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এসডিজি অর্জনের লক্ষ্য রয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আমরা এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে বেশ কয়েকটি অন্তর্ভূক্ত করেছি এবং তা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। ইনশাল্লাহ আমরা এসডিজি অর্জনে সক্ষম হবো।
Comments