শাবিপ্রবি: ‘পরিবেশ ধ্বংস করে উন্নয়ন, উন্নয়ন নয়’

সম্প্রতি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ছাত্রী হল নির্মাণে টিলার একাংশ ধ্বংস এবং সেন্টার ফর এক্সিলেন্স ভবন নির্মাণে যাতায়াতের সুবিধার অজুহাতে গাছ কাটার প্রতিবাদ জানিয়েছেন পরিবেশ কর্মীরা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট শাখার আয়োজনে আজ বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন। তারা বলেন, পরিবেশ-প্রতিবেশকে নষ্ট করে করা কোনো উন্নয়ন আসলে উন্নয়নই নয়।

তারা বলেন, টিলা ও গাছ কেটে স্থাপনা ও সড়ক নির্মাণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হতে পারে না।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমালোচনা করে তারা বলেন, পাহাড়, টিলা, জলাধার, বৃক্ষ রক্ষা করে কীভাবে উন্নয়ন করা সম্ভব তার নজির স্থাপন করবে বিশ্ববিদ্যালয়, তা না করে পরিবেশ নষ্ট করে উন্নয়ন কাজ করা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষার শিক্ষা ও দীক্ষা গ্রহণ করে ভবিষ্যৎ জীবনে তার প্রয়োগ করবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় যদি অন্য সবার মতো আচরণ করে তবে তা মেনে নেওয়া যায় না।

ভাষা সৈনিক মতিন উদ্‌দীন আহমদ যাদুঘরের পরিচালক ডা. মোস্তফা শাহজাহান চৌধুরী বাহারের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে সূচনা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম।

মহামারিকালে ছুটির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে টিলা ও গাছ কাটার পেছনে থাকা লোকেদের চিহ্নিত করার দাবি জানিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল উন্নয়ন কাজ মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী সম্পন্ন করার দাবি জানান।

ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভূমিসন্তান বাংলাদেশের সমন্বয়ক আশরাফুল কবির, ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (ইমজা) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মঈনুদ্দিন মঞ্জু, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের যুগ্ম-সম্পাদক ছামির মাহমুদ, বিজ্ঞান মঞ্চের সমন্বয়ক প্রণব জ্যোতি পাল, সাংস্কৃতিক সংগঠক বিমান তালুকদার, গণতান্ত্রিক ব্যবসায়ী ফোরাম সিলেটের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল জব্বার শাহী, সুরমা রিভার ওয়াটারকিপারের মুজাহিদ হোসেন মুনিম, পরিবেশকর্মী রুবেল মিয়া প্রমুখ।