‘মেসিকে আনার চেয়ে মিলানের গির্জা স্থানান্তর সহজ’
লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছেড়ে ইন্টার মিলানে যোগ দেওয়ার জল্পনা-কল্পনা যেন থামছেই না! ইতালিয়ান ক্লাবটির কোচ আন্তোনিও কন্তে অবশ্য আগেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন সমস্ত গুঞ্জন। কিন্তু দিন কয়েকের ব্যবধানে আবারও তাকে মুখ খুলতে হয়েছে একই বিষয় নিয়ে। এবারে তিনি বাস্তবতা তুলে ধরতে গিয়ে বলেছেন, আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে ইন্টারে নিয়ে আসা মিলান শহরের অন্যতম প্রধান গির্জা (ডুয়োমো ডি মিলানো) স্থানান্তরের চেয়েও কঠিন!
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দাবি প্রত্যাখ্যান করে গেল শনিবার জুভেন্টাস ও চেলসির সাবেক কোচ কন্তে বলেছিলেন, ‘আমরা ফ্যান্টাসি (কল্পনাপ্রসূত) ফুটবল নিয়ে কথা বলছি। বিভিন্ন কারণে ইন্টারের পক্ষে এমন কিছুর দিকে এগোনো সম্ভব না। আমি মনে করি না পৃথিবীতে এমন কোনো পাগল আছে যে মেসিকে চায় না। তবে আমাদের এবং আমরা যা গড়তে চাই তা থেকে সে অনেক দূরে অবস্থান করছে।’
তবে গতকাল মঙ্গলবারের এক ঘটনায় আবারও ডালপালা মেলতে শুরু করেছে জল্পনা-কল্পনা। আর এর পেছনে খোদ ইন্টারের মালিকপক্ষের সংযোগ খুঁজে পাওয়া গেছে!
সিরি আতে ইন্টার-নাপোলি ম্যাচের বিজ্ঞাপন হিসেবে ব্যবহৃত একটি ছবি নতুন গুঞ্জনের মূল উৎস। সেখানে ডুয়োমো ডি মিলানোর বাইরের অংশে আলো ফেলে রেকর্ড ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসির উদযাপনের ছায়ামূর্তি দেখানো হয়েছে। ইতালিয়ান গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইন্টারের মালিকপক্ষের নির্দেশে এমন কাজ করা হয়েছে। তবে আসল উদ্দেশ্য নাকি ছিল টেলিভিশন পর্দায় ইন্টার-নাপোলি ম্যাচ দেখতে দর্শকদের আগ্রহী করে তোলা।
ম্যাচ শেষে তাই অবধারিতভাবে উঠেছে ৩৩ বছর বয়সী মেসির ইন্টারে আসার সম্ভাবনার প্রসঙ্গটি। স্কাই স্পোর্টস ইতালিয়ার পক্ষ থেকে কৌশলে কন্তেকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, মেসি নাকি চার ফুটবলারের প্রত্যেকের জন্য ৫০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করা? কোনটি বেছে নেবেন? জবাবে তিনি বলেছেন, ‘দুটি সম্ভাবনাই অবাস্তব। আমি খেলোয়াড়দের ধরে রাখার চেষ্টা করছি। তারা নিজেদের উজাড় করে দিচ্ছে। মেসিকে ইন্টারে নিয়ে আসার চেয়ে ডুয়োমোকে স্থানান্তর করা সহজ হবে।’
উল্লেখ্য, ঘরের মাঠ সান সিরোতে নাপোলিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে সিরি আতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্টার। ম্যাচের প্রথমার্ধে লক্ষ্যভেদ করেন দানিলো দি’আমব্রোসিও। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান লাউতারো মার্তিনেজ। বিপরীতভাবে, মেসির স্বদেশি এই ফরোয়ার্ডের ইন্টার ছেড়ে বার্সেলোনার যোগ দেওয়ার গুঞ্জন বেশ চড়া।
Comments