হাতিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে জলদস্যু বাহিনীর প্রধান আটক
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অভিযান চালিয়ে জলদস্যু বাহিনীর প্রধানকে আটক করেছে হাতিয়া কোস্টগার্ড।
আজ বুধবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের চৌকিদার খাল থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত জলদস্যু বাহিনীর প্রধানের নাম মো. রাসেল (২৮)। তিনি নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামের আবদুল কুদ্দুছের ছেলে ও রাসেল বাহিনীর প্রধান।
আটক করার সময় তার কাছ থেকে দুটি এলজি, দুটি কার্তুজ ও তিনটি ধারালো বগিদাসহ ডাকাতির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় হাতিয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড হাতিয়া স্টেশন কমান্ডার লে. বিশ্বজিৎ বড়ুয়া।
কোস্টগার্ড হাতিয়া স্টেশন সূত্রে জানা যায়, হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদীর জেলেদের ত্রাস জলদস্যু বাহিনী প্রধান মো. রাসেল একদল ডাকাত নিয়ে উপজেলার নিঝুম দ্বীপের চৌকিদার খালে মেঘনা নদীতে জেলে নৌকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লে. বিশ্বজিৎ বড়ুয়ার নেতৃত্বে কোস্টগার্ড ওই স্থানে অভিযান চালায়।
লে. বিশ্বজিৎ বড়ুয়া বলেন, ‘কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে রাসেল বাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ধাওয়া করে বাহিনী প্রধান রাসেলকে পানি থেকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি এলজি, দুটি কার্তুজ ও তিনটি ধারালো বগিদাসহ ডাকাতির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ডাকাতির প্রস্তুতি ও মেঘনা নদীতে ডাকাতি করার কথা স্বীকার করেছেন। আটক জলদস্যু রাসেল তার দলের সদস্যদের নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মেঘনা নদীতে মাছ ধরা জেলে নৌকায় ডাকাতি, জেলেদের অপহরণ, চাঁদাবাজি ও খুন করে আসছে। তাকে হাতিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।’
আটক রাসেলের বিরুদ্ধে সাত-আটটি মামলা রয়েছে এবং আজকের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে যোগ করেন তিনি।
হাতিয়া থানার ওসি মো. আবুল খায়ের কোস্টগার্ডের হাতে জলদস্যু আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ ঘটনায় কোস্টগার্ড সদস্যরা বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
Comments