প্রত্ন নিদর্শনের খোঁজে মৌলভীবাজারের পশ্চিমভাগ, সাগরনাল ও ভাটেরায় খনন করা হবে
প্রত্ন নিদর্শন অনুসন্ধানে মৌলভীবাজারের পশ্চিমভাগ ও সাগরনাল পরীক্ষামূলক খনন ও ভাটেরায় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খনন করবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমান গতকাল বুধবার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।
চলতি সপ্তাহে অধিদপ্তরের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিমভাগে ‘তাম্রশাসন লিপি’ প্রাপ্তিস্থান, জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ও কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘আগামী শীত মৌসুমে এই খনন কাজ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
‘সে সময় প্রাচীন সংস্কৃতির ইতিহাস-ঐতিহ্যের খোঁজে পশ্চিমভাগ ও সাগরনাল পরীক্ষামূলক খনন করা হবে এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নিজস্ব সম্পত্তি ভাটেরায় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খনন করা হবে,’ যোগ করেন তিনি।
বলেন, ‘শ্রীহট্টের প্রাচীনতম চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্বের পুরাকীর্তি সম্পর্কে জানার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গঠিত প্রতিনিধি দল মৌলভীবাজারে তিন দিনের সফরে গিয়েছিল।’
তার মতে, ‘সেই সফরে আমরা পশ্চিমভাগে কিছু পেয়েছি। অনেক সময় লোক ও স্থান পাওয়া যায় না। কিন্তু, সেখানে আমরা ৯০ বছর বয়সের পরেশ চন্দ্র পালকে পেয়েছি। তিনি এই বয়সেও স্বতস্ফূর্তভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছেন।’
‘বাড়ির বাঁশঝাড়ের নিচে শিলালিপি প্রাপ্তির স্থানটি তিনি আমাদের দেখিয়েছেন। আগামী শীতে সেখানে পরীক্ষামূলক খনন করা হবে।’
‘এখানে প্রাচীন সংস্কৃতির নিদর্শন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘অনেক মৃৎপাত্রের নির্দশন সেখানে আছে। আমরা অনেকগুলো নিয়ে এসেছি।’
আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, ‘কমলারানির দীঘির পাড়ে মোগল আমলের কবর দেখেছি। ইটের নমুনা সেই সময়ের। সেখানে পর্যটন বিকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, ভাটেরাও খুবই সম্ভাবনাময়। সেখানে রুটিন কাজ হিসেবে খনন করা হবে। লীলা নাগের বাড়িটিও বাঙালি জাতির ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। সেটিও সংরক্ষণ করা দরকার।’
এর আগে প্রতিনিধি দল সাংবাদিকদের জানিয়েছিল, কুলাউড়ার ভাটেরায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সংরক্ষিত দুটি টিলা আছে। ভাটেরাতেও অসংখ্য মৃৎপাত্রের নিদর্শন পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে, জুড়ীর সাগরনালে পুঁতি পাওয়া গেছে।
তারা মনে করেন, যদি পরীক্ষা করে প্রমাণ পাওয়া যায় সেগুলো প্রাচীন তাহলে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় বা বৌদ্ধ বিহারের মতো কিছু না হলেও বন্দরের মতো কিছু ছিল কিনা, তা অনুসন্ধান করে দেখা হবে।
Comments