২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ

মানি লন্ডারিং মামলায় ফরিদপুর শহর আ. লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার

arrest logo
প্রতীকী ছবি। স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

মানি লন্ডারিং মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার ওরফে লেবিকে (৬১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে শহরের চর কমলাপুর এলাকায় তার কার্যালয় থেকে নাজমুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নাজমুল ইসলাম ওই এলাকার বাসিন্দা। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সিআইডির চাহিদা অনুযায়ী, নাজমুল হাসানকে মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর জেলার মূখ্য বিচারিক হাকিম তাকে কারাগারে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।’

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে গত ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের (সংশোধিত ২০১৫) ৪(২) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দায়ের করা সেই মামলায় শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে আসামি করা হয়।

ওই মামলায় সিআইডি সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের ১০ দিন করে রিমান্ড চান। গত ১৩ জুলাই ভার্চুয়াল কোটে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৯ জুলাই ভোরে সিআইডি দুই আসামিকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাদের জিম্মায় নেয়। দুই দিনের রিমান্ড শেষে ২১ জুলাই আবারো ১০ দিন চেয়ে আবেদন করলে আদালত তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত শুক্রবার অপরাধ স্বীকার করে রুবেল ও বরকত ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

মামলাটি তদন্ত করছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘রুবলে ও বরকত তাদের জবানবন্দিতে যাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন, তাদের সবার নাম উল্লেখ করেছেন।’

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Terrorism Act

Banning party activities: Govt amends anti-terror law

The interim government is set to bring the curtain down on the Awami League as a functioning political party.

4h ago