আমেরিকা-চীন উত্তেজনার মধ্যেই দুই দেশের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা

ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকা ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই দুই দেশের সামরিক বাহিনী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে বলে চীনা গণমাধ্যম সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।

আজ মঙ্গলবার চীনের সরকারি সামরিক বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) সম্প্রতি এক মহড়ায় ডিএফ-২৬ ও ডিএফ-১৬ দুটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। তবে, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার দিনক্ষণ উল্লেখ করা হয়নি।

ডিএফ-২৬ ক্ষেপণাস্ত্র চীন থেকে চার হাজার কিলোমিটার দুরে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ গুয়ামে আঘাত হানতে সক্ষম। এই দ্বীপটিতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।

অন্যদিকে ডিএফ-১৬ মাঝারি পাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এটি জাপানের ওকিনাওয়াতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিসহ জাপানে যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম।

এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ব্রিগেড কমান্ডার লিউ ইয়াংকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়, ‘যুদ্ধাবস্থার বিষয়ে আমরা উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।’

ভবিষ্যতের পারমাণবিক হামলার আকস্মিকতায় জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে এই মহড়া ছিল বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

এ বছর জানুয়ারিতে পিএলএ রকেট ফোর্স ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ কেন্দ্র থেকে পাল্টা পারমাণবিক আক্রমণ চালানোর সক্ষমতাও পরীক্ষা করে।

অন্য দিকে, মঙ্গলবার সকালে আমেরিকা একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে বলে মার্কিন বিমান বাহিনীর গ্লোবাল স্ট্রাইক কমান্ড জানিয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার সামরিক ঘাঁটি থেকে ছয় হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরে প্রশান্ত মহাসাগরের মার্শাল দ্বীপপুঞ্জে এটি আঘাত করে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম।

স্টকহোমভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের হালনাগাদ করা জুন মাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ হাজার ৮০০ পারমাণবিক ওয়ারহেড আছে এবং তা বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Govt calls for patience as it discusses AL ban with parties

Taken the initiative to introduce necessary amendments to the ICT Act, says govt

1h ago