বায়ার্ন মিউনিখ বনাম চেলসি: জেনে নিন খুঁটিনাটি

bayern munich and chelsea
ছবি: এএফপি

জার্মান বুন্ডেসলিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের জন্য ফিরতি লেগ যেন কেবলই আনুষ্ঠানিকতা! উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে তারা। অন্যদিকে, পরের পর্বে যেতে হলে ইংলিশ ক্লাব চেলসিকে গড়তে হবে ইতিহাস। তাদেরকে জিততে হবে ন্যূনতম চার গোলের ব্যবধানে। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স, দলীয় শক্তিসহ সবদিক বিবেচনা করলে যা প্রায় অসম্ভবই তাদের জন্য।

ইউরোপের সেরা ক্লাব আসরের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হচ্ছে বায়ার্ন ও চেলসি। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত একটায়। আগের লেগে চেলসির মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ৩-০ গোলে জিতেছিল বায়ার্ন। জোড়া গোল করেছিলেন সার্জ গ্যানাব্রি। বাভারিয়ানদের আরেক গোলদাতা ছিলেন রবার্ট লেভানডভস্কি।

করোনাভাইরাস ধাক্কা সামলে ফের ফুটবল চালু হওয়ার পর দুর্দান্ত ছন্দ দেখিয়ে টানা অষ্টমবারের মতো বুন্ডেসলিগার শিরোপা জিতেছে বায়ার্ন। পাশাপাশি জার্মান কাপেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। বিপরীতে, ধারাবাহিকতার অভাবে ভোগা চেলসি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে কোনোরকমে চতুর্থ হয়ে পরের মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টিকিট নিশ্চিত করেছে। এরপর এফএ কাপের ফাইনালে আর্সেনালের কাছেও হেরেছে ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের দল।

পরিসংখ্যানের খুঁটিনাটি:

১. আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বায়ার্ন ও চেলসি শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। ম্যাচটি ১-১ ব্যবধানে শেষ হওয়ার পর টাইব্রেকারে জিতে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্লুজরা।

২. এই আসরের নক-আউট পর্বে আগে কেবল একবারই চেলসিকে আতিথ্য দিয়েছে বায়ার্ন। ২০০৫ সালের এপ্রিলে স্বাগতিকরা জিতেছিল ৩-২ গোলে। অতিথিদের পক্ষে প্রথম গোলটি করেছিলেন তাদের বর্তমান কোচ ল্যাম্পার্ড।

৩. ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরের (ইউরোপিয়ান কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) ৬৫ বছরের ইতিহাসে প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথম লেগে তিন বা বেশি গোলের ব্যবধানে জিতে পরের পর্বে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হওয়ার কোনো নজির নেই। আগের ৯২ বারের প্রতিটিতেই বাধা পেরিয়ে গেছে প্রথম লেগের বিজয়ী দল।

৪. চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক-আউট পর্বে সবশেষ সাতটি অ্যাওয়ে ম্যাচের একটিতেও জয়ের মুখ দেখেনি চেলসি। তারা ড্র করেছে চারটি, হেরেছে বাকি তিনটিতে। তাদের সবশেষ জয়টি এসেছিল ২০১২ সালের মার্চে। কোয়ার্টার ফাইনালে বেনফিকার বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছিল তারা।

৫. মাত্র ছয় ম্যাচে ১১ গোল নিয়ে চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষে আছেন লেভানডভস্কি। বায়ার্নের পোলিশ স্ট্রাইকার সতীর্থদের দিয়েও করিয়েছেন দুটি গোল। গড়ে প্রতি ৪১ মিনিটে একটি করে গোলে অবদান রেখেছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

6h ago