ভারতে ৪০ দিন কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন তাবলীগ জামাতের ৮ নারীসহ ১৭ বাংলাদেশি

ভারতে ৪০ দিন কারাভোগের পর বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টায় তাবলীগ জামাতের আট নারীসহ ১৭ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত।

ভারতে ৪০ দিন কারাভোগের পর বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টায় তাবলীগ জামাতের আট নারীসহ ১৭ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত।

তাদেরকে ১৪ দিনের জন্য যশোরের ঝিকরগাছার গাজীর দরগাহের সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

ভিসার নিয়ম লঙ্ঘন করায় বাংলাদেশিসহ তাবলীগ জামাতের বিপুল সংখ্যক সদস্যকে আটক করে কারাগারে পাঠায় ভারতীয় পুলিশ। বাংলাদেশি এই নাগরিকদের বিরুদ্ধে করোনা প্রাদুর্ভাবের সময় তাবলীগ জামাতে যোগ দিয়ে ভিসা শর্ত ভঙ্গ, অবৈধভাবে ধর্মপ্রচারের কাজে যোগদান এবং সরকারের বিধিভঙ্গ করার অভিযোগ আনা হয়।

পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৬৫ জন তাবলীগ জামাতের কর্মী পাসপোর্ট যোগে ভারতে যান। তারা দিল্লীতে থাকার সময় সেখানে করোনা প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাবলীগ জামাতের এই সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর। ভারতের পুলিশ তাদের আটক করে হরিয়ানার জেলে পাঠায়। সেখানকার আদালত তাদের ৪০ দিনের কারাদণ্ড দেন। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দুই দেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আলোচনার প্রেক্ষিতে গতকাল রোববার তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি মহসিন খান বলেন, ‘ভারতে আটক তাবলীগ জামাতের আট নারীসহ ১৭ জনকে ভারতীয় ইমিগ্রেশন বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে  হস্তান্তর করেছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার আশরাফুজ্জামান জানান, ফেরত আসা তাবলীগ জামায়াতের সদস্যদের প্রাথমিকভাবে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। যেহেতু তারা দীর্ঘদিন ভারতের কারাগারে অবস্থান করছিল তাদের শরীরে করোনাভাইরাস আছে কিনা সেজন্য ১৪ দিনের জন্য সরকারি তত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

এর আগে গত ৭ আগস্ট আরও ১৪ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। ২৬৫ জনের মধ্যে নতুন ১৭ জনসহ মোট ৩১ জন দেশে ফিরলেন।

আরও পড়ুন: তাবলীগ জামাতের আটক ১৪ সদস্যকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাল ভারত

Comments

The Daily Star  | English
Islami Bank's former managing director Abdul Mannan

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago