ঈদে ১৮৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২২৯ জন: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
ঈদুল আজহার আগে পরে ২৬ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিনে ১৮৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। যাতে নিহত হয়েছেন ২২৯ জন এবং আহত হয়েছেন ৩১৮ জন।
এসময়ে ২৭টি নৌ দুর্ঘটনায় ৬৬ জন নিহত হয়েছে এবং ৩টি রেল দুর্ঘটনায় তিন জন প্রাণ হারিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফাউন্ডেশন জানায়, দেশের সাতটি জাতীয়, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২৮ জন নারী ও ২৩ জন শিশু।
দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৩৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩৪ দশমিক ২২ শতাংশ আঞ্চলিক সড়কে, ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ গ্রামীণ সড়কে এবং ১১ দশমিক ২২ শতাংশ শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি হয়েছে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা। যার হার ৪৩ দশমিক ৩১ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৯৬ জন।
দুর্ঘটনার মধ্যে ২৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দিয়ে, ২৫ দশমিক ১৩ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে।
বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যানে সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে ঢাকায় ৩৭ জন। জেলা হিসেবে ময়মনসিংহে ১৬ জন।
সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ত্রুটিপূর্ণ যান, বেপরোয়া গতি, চালকের অদক্ষতা ও শারীরিক মানসিক অসুস্থতাসহ ১২টি কারণ তুলে ধরে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
এক্ষেত্রে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বাড়ানো, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়ানোসহ ১১টি সুপারিশ করেছে ফাউন্ডেশন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ঈদুল ফিতরের তুলনায় ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বেড়েছে। সেসময় ১২৮টি দুর্ঘটনায় মারা যান ১৪৭ জন।
ফাউন্ডেশন জানায়, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ, গণপরিবহন কৌশল প্রণয়ন এবং পরিবহন ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি। এজন্য সরকারের দায়বদ্ধতা ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার বিকল্প নেই।
Comments