জীবিকা সংকটে বিদেশফেরত ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি: আইওএম
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/bangladeshi_migrants_edit.jpg?itok=pvbRe3u0×tamp=1597239919)
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে বিদেশফেরত বাংলাদেশিদের প্রায় ৭০ ভাগ জীবিকা সংকটে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
দেশের ১২টি জেলার বিদেশফেরতদের নিয়ে আইওএম এর ‘র্যাপিড অ্যাসেসমেন্ট অব নিডস অ্যান্ড ভালনারেবিলিটিস অব ইন্টার্নাল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল রিটার্ন মাইগ্র্যান্টস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সমীক্ষা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ইউরোপিয় ইউনিয়ন এর অর্থায়নে 'রিজিওনাল এভিডেন্স ফর মাইগ্রেশন অ্যানালাইসিস অ্যান্ড পলিসি (আরইএমএপি)' প্রকল্পের আওতায় এ সমীক্ষা চালানো হয়।
সমীক্ষার ফল অনুযায়ী, দেশে আসার পর বিদেশফেরতরা বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। সেগুলো হলো-চাকরির অনিশ্চয়তা, আর্থিক সমস্যা (আয়ের স্বল্পতা ও ঋণ পেতে সমস্যা) এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যা।
আইওএম এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গড়ে প্রত্যেক অভিবাসীর আয়ের ওপর তার পরিবারের তিন জন সদস্য নির্ভর করেন। হঠাৎ করে বৃহৎ সংখ্যক প্রবাসী দেশে ফিরে বেকার হয়ে যাওয়ায়, দেশব্যাপী বিদেশফেরতদের পরিবার এবং রেমিট্যান্স-নির্ভর জনগোষ্ঠীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
এ বছর মে এবং জুলাই মাসে দেশের ১২টি উচ্চ অভিবাসন-প্রবণ জেলাগুলোতে জরিপ চালানো হয়, যার মধ্যে সাতটি ভারত সীমান্তে অবস্থিত।
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে ১,৪৮৬ জন বিদেশফেরত প্রবাসী ও ১,২৭৯ জন অভ্যন্তরীণ-প্রত্যাবাসনকারীসহ মোট ২,৭৬৫ জনের সাক্ষাত্কারের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
কোভিড-১৯ সংকটের কারণে আয়, উত্পাদন, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক সেবা সীমিত হয়ে যাওয়ায়, এ বছর মার্চ থেকে কয়েক লাখ প্রবাসী দেশে ফিরে আসেন।
সাক্ষাতকার নিয়ে দেখা যায়, বিদেশফেরত উত্তরদাতাদের ৫৫ শতাংশের ঋণ রয়েছে।
আইওএম এর বাংলাদেশ মিশনের চিফ গিওর্গি গিগৌরি বলেন, 'কোভিড-১৯ মহামারীতে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকাদের মধ্যে অভিবাসী শ্রমিকরা অন্যতম। বৈশ্বিক চলাচলের ওপর আরোপিত নতুন নিষেধাজ্ঞা এবং কোভিড-১৯ মহামারি সৃষ্ট মন্দার ফলে বিরূপ প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের অভিবাসী কর্মী এবং রেমিট্যান্স নির্ভর জনগোষ্ঠীর উপর।’
তিনি বলেন, 'এই গবেষণা প্রত্যাবাসনকারীদের পুনরায় কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে সরকারের কৌশল তৈরি করতে সহায়তা করবে। মহামারী চলাকালীন ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসীদের সহযোগিতা ও সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গবেষণাটি সাহায্য করবে। অভিবাসীদের তাদের পরিবেশের সঙ্গে নতুন করে খাপ খাওয়াতে আমাদের এক সঙ্গে কাজ করা উচিত।'
Comments