দেশে উৎপাদিত বীজে লাল ও হলুদ তরমুজের সফল ফলন

দেশে প্রথমবারের মতো তরমুজের বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে এর সফল ফলনের দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পটুয়াখালীর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরা।
প্রথমবারের মতো দেশে উৎপাদিত বীজে তরমুজের ফলনে সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট। ছবি: সোহরাব হোসেন

দেশে প্রথমবারের মতো তরমুজের বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে এর সফল ফলনের দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পটুয়াখালীর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরা।

লাল রংয়ের পাশাপাশি হলুদ রংয়ের তরমুজ উৎপাদন করেও সাফল্য পাওয়া গেছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, নিজস্ব উদ্যানে এর কয়েকটি প্রদর্শনী করা হয়েছে এবং প্রতিবারই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এসেছে।

রেজাউল করিম বলেন, ‘তরমুজ বাংলাদেশের অন্যতম একটি অর্থকরী এবং ব্যাপক চাহিদা সম্পন্ন ফসল। তবে দেশে তরমুজের নিজস্ব কোন বীজ না থাকায় চীন, জাপান, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে প্রতিবছর ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার বীজ আমদানি করতে হয়। এ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১৫ সাল থেকে এখানে তরমুজ বীজ উৎপাদনের গবেষণা শুরু করি এবং এ বছর বীজ উৎপাদনে সফল হই।’

প্রতি হেক্টর জমিতে ৪০ টন তরমুজ উৎপাদন সম্ভব জানিয়ে তিনি বলেন, বছরব্যাপী এ তরমুজের উৎপাদন সম্ভব তবে বর্ষাকালে অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে এটি চাষ করতে হবে যাতে পানিতে গাছ নষ্ট হতে না পারে। আমরা শিগগির এ বীজের অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ বীজ বোর্ডের কাছে জমা দেব এবং অনুমোদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে এটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া হবে।

রেজাউল করিম বলেন, দেশীয় বীজে তরমুজ চাষ হলে বছর ব্যাপী ভোক্তারা বাজারে এ সুস্বাদু ফলটি পাবেন, যদিও এখন শুধুমাত্র শীতকালে এটি বাজারে পাওয়া।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়া সারাবছর তরমুজ চাষের উপযোগী, উদ্ভাবিত বীজে ৩ থেকে ৫ কেজি ওজনের তরমুজ উৎপাদন সম্ভব।

সম্প্রতি পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে লেবুখালী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ওই গবেষণা

প্রতিষ্ঠানের মাঠে তরমুজ চাষ হচ্ছে। বিভিন্ন আকারের তরমুজগুলো পোকামাকড় থেকে রক্ষায় পলিথিনে মোড়ানো রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago