খেলা ফেরানোর স্বার্থে কোন শর্তেই আপত্তি নেই সৌম্যের
থমকে যাওয়া সময় কাটিয়ে কদিন আগেই ব্যক্তিগত অনুশীলনে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে লম্বা সময় থাকতে হয়েছে কেবল গৃহবন্দী। নতুন বিয়ে করেছেন। ঢাকা ও সাতক্ষীরা মিলিয়ে বাড়িতে থাকার সময়টা তাই তার খারাপ যায়নি। তবে একজন খেলোয়াড়ের জন্য সবচেয়ে কাঙ্খিত যা, সেই খেলা না হওয়ায় মনের ভেতর জমছিল অস্বস্তি। শ্রীলঙ্কা সফর চূড়ান্ত হওয়ায় সেই অস্বস্তি দূর। সিরিজটি ঠিকভাবে হওয়ার স্বার্থে কোভিড-১৯ পরীক্ষা, কোয়ারেন্টি, কড়া স্বাস্থ্যবিধি কোন কিছুতেই আপত্তি নেই তার।
বুধবারই বিসিবি জানায়, ২৩ সেপ্টেম্বর সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কায় যাবে বাংলাদেশ। সেখানে কোয়ারেন্টিন ও অনুশীলনের পর ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে এসে খেলা বৃহস্পতিবার নিজের স্বস্তির কথা জানিয়েছেন, 'অবশ্যই স্বস্তির যে আমাদেরও খেলা শুরু হচ্ছে। এতদিন খেলা দেখতাম ইংল্যান্ডের, তো খারাপ লাগত অনেক, ভাবতাম আমরা কবে খেলব। অবশ্য ভালোও লাগত এই ভেবে যে খেলা তো অন্তত শুরু হয়েছে। কাল শুনলাম আমাদেরও ট্যুর নিশ্চিত হয়েছে। নিজের কাছে অনেক ভাল লাগছে।'
আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অবশ্য এবার ক্রিকেট সিরিজগুলো একদমই ভিন্ন। রীতিমতো এক মাস আগে শ্রীলঙ্কায় যেতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। একাধিকবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করাতে হবে। গিয়েই থাকতে হবে হোটেল রুমে কোয়ারেন্টিনে। পুরো সিরিজ চলাকালীন চলাফেরাও থাকবে সীমিত। কোন বিধিভঙ্গ হলেই যেতে হবে আইসোলেশনে।
তবে খেলা ফেরানোর স্বার্থে এসব কড়া শর্ত ইতিবাচকভাবে দেখছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, ‘সবাই সবার সুরক্ষা রেখে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। যেভাবে নিয়ম থাকবে তা মেনেই মাঠে নামতে হবে। যেকোনো একজনের চলে এলেই সবাই ভোক্তভুগি হবে। আমার কাছে মনে হয় নিয়ম মেনে চলাই ভাল।’
‘সব কিছুই অন্যরকম। এক মাস আগে দল যাবে। এটা একটু বেশি হলেও সুরক্ষার কারণে এটা করতে হবে। এটা টিম ওয়ার্ক হিসেবেই ধরতে হবে। ’
Comments