পরিসংখ্যান: সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি বার্সেলোনা-বায়ার্ন

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দল দুটি।
barca and bayern
ছবি: সম্পাদিত

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসরে দেখা মিলেছে চরম নাটকীয়তার। প্রতিযোগিতাটির সাবেক চ্যাম্পিয়নদের অধিকাংশই ছিটকে গেছে এরই মধ্যে। টিকে আছে কেবল স্প্যানিশ পরাশক্তি বার্সেলোনা ও জার্মান বুন্ডেসলিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। আসরের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দল দুটি।

এক লেগের হাইভোল্টেজ কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যাচটি মাঠে গড়াবে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত একটায়। ম্যাচের ভেন্যু পর্তুগালের লিসবনের স্তাদিও দা লুজ।

নিজ নিজ গ্রুপে সেরা হয়ে নক-আউট পর্বে জায়গা করে নিয়েছিল বার্সেলোনা ও বায়ার্ন। এরপর দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে শেষ ষোলোর বাধা পেরিয়ে কোয়ার্টারে উঠেছে তারা। দুটি দলই আগে পাঁচবার করে জিতেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা। তাদের লক্ষ্য এখন সাফল্যের মুকুটে নতুন পালক যুক্ত করার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।

বায়ার্নের নামের পাশে শোভা পাচ্ছে ‘হট ফেভারিট’ তকমা। ঘরোয়া ডাবল জেতা দলটি দুর্দান্ত ছন্দ দেখিয়ে চলেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও। হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা এ পর্যন্ত আট ম্যাচ খেলে জিতেছে সবকটিতে। তারকা স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডভস্কির নেতৃত্বে তারা গোল করেছে মোট ৩১টি। চলতি আসরে ম্যাচ জয় ও গোল করা- দুই তালিকাতেই সবার উপরে রয়েছে বাভারিয়ানরা।

বার্সেলোনার অবশ্য সময়টা তেমন ভালো কাটছে না। এবারের মৌসুমে এখন পর্যন্ত কোনো শিরোপার দেখা পায়নি তারা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে নাপোলির মাঠে প্রথম লেগে ১-১ গোলে ড্র করেছিল কিকে সেতিয়েনের দল। দ্বিতীয় লেগে তারকা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসির নৈপুণ্যে ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে ৩-১ গোলে জিতে শেষ আটে নাম লিখিয়েছে কাতালানরা।

পরিসংখ্যানে বার্সেলোনা-বায়ার্ন:

১. বার্সেলোনা ও বায়ার্ন- দুটি দলই ১৮তম বারের মতো উঠেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে। ইউরোপের সেরা ক্লাব প্রতিযোগিতাটিতে এটি বার্সার ২৪তম অংশগ্রহণ, বায়ার্নের ২৩তম।

২. ২০০৭-০৮ মৌসুম থেকে টানা ১৩তম বারের মতো কোয়ার্টারে ঠাঁই করে নিয়েছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এই রেকর্ড নেই আর কারও।

৩. ২০১৪-১৫ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো পরস্পরকে মোকাবিলা করতে যাচ্ছে বার্সা ও বায়ার্ন। ওই আসরের সেমিফাইনালে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন মেসি-জেরার্দ পিকেরা। ফিরতি দেখায় ৩-২ গোলে জিতলেও প্রথম দেখায় ৩-০ গোলে হারায় বাদ পড়েছিল বায়ার্ন।

৪. চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অন্য যেকোনো ক্লাবের চেয়ে বায়ার্নের কাছে বেশি ম্যাচ হেরেছে বার্সেলোনা। পাঁচ হারের বিপরীতে তাদের জয় মাত্র দুটিতে। ড্র হয়েছে একটি ম্যাচ।

৫. ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরে প্রথম নয়টি ম্যাচের সবকটিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার রেকর্ড রয়েছে বার্সেলোনার দখলে। ২০০২-০৩ মৌসুমে এই কীর্তি গড়েছিল দলটি। এবারে তাদেরকে ছুঁয়ে ফেলার হাতছানি টানা প্রথম আট ম্যাচ জেতা বায়ার্নের সামনে।

Comments

The Daily Star  | English

Chief adviser meets cricketers after 'historic success' in Pakistan

Asif Mahmud Shojib Bhuyain, adviser to the ministry of youth and sports, hailed the players for bringing success at a difficult time

3h ago