বিশাল জয়ে বার্সার কীর্তিতেই ভাগ বসাল বায়ার্ন

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম নয়টি ম্যাচের সবকটিতে জেতার রেকর্ড এতদিন ছিল কেবল বার্সেলোনার নামের পাশে। স্প্যানিশ ক্লাবটিকে ছারখার করে সেই কীর্তিতেই ভাগ বসাল জার্মান বুন্ডেসলিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ।
শুক্রবার রাতে ইউরোপের সেরা ক্লাব আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে ৮-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে বাভারিয়ানরা। পর্তুগালের রাজধানী স্তাদিও দা লুজে কাতালানদের দিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে তারা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ২০০২-০৩ মৌসুমে প্রথম গ্রুপ পর্বের ছয় ম্যাচে শেষ হাসি হাসার পর দ্বিতীয় গ্রুপ পর্বের প্রথম তিনটিতেও জেতে বার্সা। শুরুতে ‘এইচ’ গ্রুপে লোকোমোটিভ মস্কো, ক্লাব ব্রুগে ও গ্যালাতাসারাইকে দুই লেগেই হারিয়েছিল দলটি। এরপর ‘এ’ গ্রুপে বেয়ার লেভারকুসেন, নিউক্যাসল ইউনাইটেড ও ইন্টার মিলানের বিপক্ষেও বিজয়ীর বেশে মাঠ ছেড়েছিল তারা। কাতালানদের জয়যাত্রা থেমেছিল দশম ম্যাচে গিয়ে। সান সিরোতে ইন্টারের সঙ্গে ফিরতি ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছিল তারা।
১৭ বছর পর বার্সাকে হারিয়েই প্রতিযোগিতার প্রথম নয় ম্যাচে টানা জেতার রেকর্ড স্পর্শ করেছে বায়ার্ন। হতশ্রী পারফরম্যান্সে হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যদের কাছে কোনো পাত্তাই পাননি লিওনেল মেসি-জেরার্দ পিকেরা।
দুই অর্ধে চারটি করে গোল হজম করে কিকে সেতিয়েনের দল। জার্মান ক্লাবটির পক্ষে জোড়া গোল করেন টমাস মুলার ও ফিলিপে কৌতিনহো। একবার করে লক্ষ্যভেদ করেন ইভান পেরিসিচ, সার্জ গ্যানাব্রি, জশুয়া কিমিচ ও রবার্ট লেভানডভস্কি। প্রথমার্ধে ডেভিড আলাবার আত্মঘাতী গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে বার্সার হয়ে জালের দেখা পান লুইস সুয়ারেজ।
এবারের আসরের গ্রুপ পর্বে টটেনহ্যাম হটস্পার, অলিম্পিয়াকোস ও রেড স্টার বেলগ্রেডকে উড়িয়ে দিয়ে নক-আউটে নাম লিখিয়েছিল বায়ার্ন। ছয় ম্যাচে ২৪টি গোল করেছিল তারা। এরপর শেষ ষোলোতে লেভানডভস্কি-মুলাররা দুই পর্ব মিলিয়ে ৭-১ ব্যবধানে ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেন চেলসিকে।
তবে সেরাটা যেন বার্সেলোনার জন্য জমিয়ে রেখেছিল বায়ার্ন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে স্প্যানিশ ক্লাবটির বিপক্ষে তাদের অতীত পরিসংখ্যানও (পাঁচ জয়ের বিপরীতে দুটি হার) যোগাচ্ছিল আত্মবিশ্বাস। মাঠের লড়াইয়ে দেখা গেল সাম্প্রতিক সময়ে ধুঁকতে থাকা বার্সার বিবর্ণ রূপও। সবমিলিয়ে বিব্রতকর এক হারই মেসিদের উপহার দিলো বায়ার্ন।
Comments