পরিবর্তন চান পিকে, প্রয়োজনে সরে দাঁড়াবেন নিজেও

পিকে চাইছেন ক্লাবের আমূল পরিবর্তন। প্রয়োজনে নিজেও জায়গা ছাড়তে রাজি এ স্প্যানিশ ডিফেন্ডার।
ছবি: এএফপি

ঘরোয়া ফুটবল কিংবা ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা; বরাবরই শিরোপার অন্যতম দাবীদার স্প্যানিশ জায়ান্ট ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা। ইতিহাসও তাই বলে। কিন্তু সেই দলটি আগের দিন জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের কাছে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের রীতিমতো গলির দল বানিয়ে ছেড়েছে জার্মান ক্লাবটি। আর দলের এমন পরাজয়ে নিজেদের দোষই দেখছেন ক্লাবের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় জেরার্দ পিকে। চাইছেন ক্লাবের আমূল পরিবর্তন। প্রয়োজনে নিজেও জায়গা ছাড়তে রাজি এ স্প্যানিশ ডিফেন্ডার।

লিসবনে আগের দিন বায়ার্নের কাছে ৮-২ গোলের বিব্রতকর হার দেখে বার্সেলোনা। দুই অর্ধে চারটি করে গোল খায় দলটি। কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ করে দলের এমন পারফরম্যাসে হতাশ সবাই। আর দলের এমন হারকে রীতিমতো লজ্জাজনকই মনে করছেন পিকে, 'এই ক্লাবের পরিবর্তন দরকার। আমি কোচ বা কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের কথা বলছি না। আমি কারও কথা আলাদা করে বলছি না। কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে হবে। এমনটা প্রথমবার, দ্বিতীয়বার কিংবা তৃতীয়বার ঘটল না। যদি নতুনদের এনে এই অবস্থা বদলাতে হয়, তাহলে তাই হোক। দরকার হলে আমিই সবার আগে সরে যাব।'

চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে এদিন নকআউট স্টেজে প্রথম দল হিসেবে ৮ গোল দিয়েছে বায়ার্ন। আর ৭৪ বছর পর নিজেদের জালে ৮ বার বল প্রবেশ করতে দেখল বার্সা। এমন পরাজয়ে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ পিকে, 'এটা লজ্জাজনক। ভূতুড়ে একটি ম্যাচে। সম্পূর্ণ ধ্বংসাত্মক। আপনি এভাবে খেলতে পারেন না। ইউরোপে আপনি এভাবে খেলতে পারেন না।'

খুব শিগগিরই হারের কারণ পর্যবেক্ষণ করে সমাধান বের করতে হবে বলে মনে করেন এ ডিফেন্ডার, 'আমরা এখন তলানিতে রয়েছি। আমি মনে করি বিষয়টি আমাদের সকলকে দেখতে দেখতে হবে এবং নিজেদের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারগুলোও দেখতে হবে। কোনটা বার্সার জন্য সবচেয়ে ভালো সেটা বের করা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।'

বায়ার্নের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার দিনে খালি হাতে মৌসুম শেষ নিশ্চিত হয় বার্সেলোনার। ১৩ বছর পর আবারও একটি মৌসুম কোনো শিরোপা না জিতেই শেষ করে দলটি।

Comments

The Daily Star  | English

Don’t stop till the job is done

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday urged key organisers of the student-led mass uprising to continue their efforts to make students’ and the people’s dream of a new Bangladesh come true.

7h ago