'মেসিকে হারানো অনেক মজার'

ছোট বেলা থেকেই লিওনেল মেসির বড় ভক্ত বায়ার্ন মিউনিখের জার্মান মিডফিল্ডার লিও গোরেটজকা। প্রিয় তারকার জয় চেয়েই বড় হয়েছেন। ভাগ্যক্রমে আগের দিন সেই তারকার বিপক্ষে খেলেছেন নিজে। আর সে ম্যাচে রীতিমতো মেসির দলকে নাস্তানুবাদ করে ছেড়েছেন। তাতে কষ্ট পাওয়ার কথাই একজন ভক্তের। কিন্তু কোনো কষ্ট তো পানই-নি, উল্টো মেসির এমন হারে বেশ মজা পেয়েছেন এ জার্মান তারকা।
ছবি: এএফপি

ছোট বেলা থেকেই লিওনেল মেসির বড় ভক্ত বায়ার্ন মিউনিখের জার্মান মিডফিল্ডার লিও গোরেটজকা। প্রিয় তারকার জয় চেয়েই বড় হয়েছেন। ভাগ্যক্রমে আগের দিন সেই তারকার বিপক্ষে খেলেছেন নিজে। আর সে ম্যাচে রীতিমতো মেসির দলকে নাস্তানুবাদ করে ছেড়েছেন। তাতে কষ্ট পাওয়াই স্বাভাবিক একজন ভক্তের জন্য। কিন্তু কোনো কষ্ট তো পানই-নি, উল্টো মেসির এমন হারে বেশ মজা পেয়েছেন এ জার্মান তারকা।

লিসবনে কোয়ার্টার ফাইনালের সে ম্যাচের আগে মূল আলোচনাই ছিল মেসিকে নিয়ে। রেকর্ড ছয় বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এ তারকার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো  মাঠে নেমেছিলেন গোরেটজকা। প্রিয় তারকার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে শুধু নিজে নন, তার পরিবারও ছিল রোমাঞ্চিত। সে কথা সংবাদ সম্মেলনেও জানিয়েছিলেন তিনি। তাই স্বাভাবিকভাবেই সে প্রসঙ্গ উঠে আসে ম্যাচ শেষে।

আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে এমন বিব্রতকর অবস্থায় দেখতে পাওয়ায় কেমন অনুভব করছেন তা জানতে চাওয়া গোরেটজকার কাছে। আর উত্তরটা বেশ নির্মমভাবেই দেন এ মিডফিল্ডার, 'না, এটা হৃদয়বিদারক নয়, এটা আসলে অনেক মজার।'

তবে ম্যাচ শেষে হঠাৎ করে এমন প্রশ্নের উত্তরে কিছু বিব্রত হয়েছেন নিজেও। গোরেটজকার ভাষায়, 'ম্যাচ শেষেই কিছু বলা আসলে অনেক কঠিন। আসলে ফলাফলটা মানতে আরও কয়েকদিন সময় লেগে যাবে।'

বার্সেলোনাকে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স জয়ের অনেক কাছে চলে এসেছে বায়ার্ন। তবে কেবলমাত্র প্রথম ধাপ পার করেছেন বলে জানালেন গোরেটজকা, 'আমাদের অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস ছিল, তবে ড্রেসিং রুমে আমরা বলাবলি করছিলাম আমরা তিন ধাপের একটি ধাপ পার হয়েছি।'

উল্লেখ্য, ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এ জার্মান মিডফিল্ডার বলেছিলেন, 'গতকাল আমার মা এবং পরে আমার বাবা কল দিয়ে বলেছেন, "তো অবশেষে তুমি তোমার প্রিয় তারকার বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছ।" এবং উত্তরে আমি বলি, "হ্যাঁ" এরপর আমরা সবাই হাসতে থাকি। সত্যি বলতে আমরা এটা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না তারা জানে ছোট বেলা থেকেই আমি মেসিকে দেখে বড় হয়েছি। আর এখন আমি তার বিপক্ষে খেলছি। এটা সত্যিই দারুণ।'

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago