পিরোজপুরে অপহরণের পর হত্যা, ইট বেঁধে ডুবিয়ে দেওয়া হয় মৃতদেহ
পিরোজপুর সদর উপজেলায় পানিতে ভাসমান অবস্থায় একটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মো. মোজাফফর শেখ (৫০) জেলার নাজিরপুর উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের পূর্ব যুগিয়া গ্রামের মৃত মো. লাল মিয়া শেখের ছেলে এবং পেশায় ব্যবসায়ী।
স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে রোববার দুপুরে উপজেলার টোনা ইউনিয়নের মূলগ্রাম খালের মোহনা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। মৃতের হাত, পা ও মুখ দড়ি ও কাপড় দিয়ে বাঁধা অবস্থায় পায় পুলিশ।
মৃতদেহটি যাতে ভেসে না ওঠে সে জন্য ১৫টি ইট একটি বস্তার মধ্যে ভরে সেগুলো মৃতদেহের সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয়।
মোজাফফরকে গত ৩ থেকে ৪ দিন আগে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পরনের কাপড়, কোমড়ের মাদুলি ও বাম হাতে কাটা চিহ্ন দেখে মৃতদেহটি শনাক্ত করেন স্বজনরা।
তারা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সুপারি ও ধানের ব্যবসায়ী মোজাফফর গত ১২ আগস্ট বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এরপর তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার নাজিরপুর থানায় স্থানীয় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে মোজাফফরের মেয়ে সোনিয়া খানম। তবে কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গতকাল দুপুরে মৃতদেহটি উদ্ধার হওয়ার স্থান পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান। পিরোজপুর মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহটি পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মোজাফফরকে অপরহরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাজিরপুর থানার উপপরিদর্শক জসিম উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘অপহরণকারীরা রোববার সকালে নিহতের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে টাকা নিয়েছে। এরপর দুপুরে পুলিশ মৃহদেহটি উদ্ধার করে।’
‘হত্যার বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ উল্লেখ করে পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
Comments