চাঁদপুর শহরে মেঘনার ভাঙন রোধে ৪২০ কোটি টাকার প্রকল্প

চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার হরিসভা এলাকায় মেঘনার ভাঙন রোধে ৪২০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পেলে, সেখানে সিসি ব্লক বসিয়ে স্থায়ীভাবে নদীর পাড় রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহমেদ।
চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার হরিসভা এলাকায় মেঘনার ভাঙন সরেজমিনে দেখতে যান পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ছবি: স্টার

চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার হরিসভা এলাকায় মেঘনার ভাঙন রোধে ৪২০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পেলে, সেখানে সিসি ব্লক বসিয়ে স্থায়ীভাবে নদীর পাড় রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহমেদ।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুরানবাজার হরিসভা এলাকা পরিদর্শনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ প্রকল্পের পুরানবাজার হরিসভা এলাকায় নদীর প্রবল স্রোতে মেঘনার ভাঙন অব্যাহত আছে। আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত পুরানবাজার হরিসভা এলাকার ৪৫ মিটার নদীর পাড়ের সিসি ব্লক মেঘনায় তলিয়ে গেছে। ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ সেখানে গত ৮ আগস্ট রাত থেকে বালির বস্তা ফেললেও, ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুরানবাজার হরিসভা এলাকায় ৯৫ মিটার পর্যন্ত নদীর তীর অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে মেঘনার ৩০ মিটার গভীরতা।'

এ পর্যন্ত ভাঙন রোধে গত ১০ দিনে সেখানে ২৪ হাজার ৫০০ বস্তা বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। কিন্তু, মেঘনার প্রবল স্রোতে এসব বালির বস্তা তলিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনার বিভিন্ন স্থানে চর, ডুবো চরের কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেছে। তাছাড়া, মেঘনা নদীতে অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজিং এর মাধ্যমে বালি তোলায় নদীর স্বাভাবিকতা হারিয়ে গেছে। এ কারণে বর্ষায় জোয়ারের পানির তীব্র স্রোতে বার বার এই ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা এসব চর কাটার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

Comments