কুয়াকাটা সৈকতে কংক্রিটের টুকরো, পর্যটকদের ক্ষোভ

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের শূন্য পয়েন্টে প্রায় একশ মিটার এলাকাজুড়ে ভাঙ্গা ভবনের কংক্রিটের টুকরা পড়ে আছে। ছবি: সোহরাব হোসেন

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের শূন্য পয়েন্টে প্রায় একশ মিটার এলাকাজুড়ে ভাঙ্গা ভবনের কংক্রিটের টুকরা পড়ে আছে। এতে পর্যটকরা সৈকতের ওই অংশে হাঁটতে ও গোসলে নেমে আহত হচ্ছেন অভিযোগ করেছেন।

স্থানীয়রা জানায়, কুয়াকাটা সৈকত এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)‘র মালিকানাধীন একটি বায়ো-গ্যাস প্ল্যান্ট কাম রেস্ট রেস্ট হাউস ২০০৭ সালের নভেম্বরে সাইক্লোন সিডারের আঘাতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে এলজিইডি ওই ক্ষতিগ্রস্থ ভবনটি নিলামে বিক্রি করে। কিন্তু কংক্রিটের বেশ কিছু ভাঙ্গা অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। এছাড়াও ভবনের সীমানা প্রাচীরটি পুরোপুরি ভেঙে পড়লে সেটিরও ভাঙ্গা অংশগুলি সৈকতে চাপা পড়ে যায়। তবে বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের সময় প্রচন্ড ঢেউয়ে বালু সরে গেলে ২০১৬ সালে ক্রংকিটের টুকরোগুলো বালুর ওপর জেগে ওঠে। স্থানীয় প্রশাসন বেশকিছু ভাঙ্গা টুকরো অপসারণ করলেও প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ওই ভাঙ্গা অংশগুলো কমবেশি সৈকতের বালুর ওপর জেগে ওঠে।

পর্যটকদের সতর্কতায় নিজেদের উদ্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বাঁশ পুতে লাল কাপড় টানিয়ে দিয়েছিলেন বলে জানান সৈকতের বাণিজ্যিক ফটোগ্রাফার রুবেল। তবে প্রচন্ড ঢেউয়ের তোড়ে তাও ভেসে গেছে। 

পর্যটক আবদুল হান্নান বলেন, ‘জোয়ারের সময় গোসল করতে নেমে কংক্রিটের ভাঙ্গা অংশে আহত হয়েছি।’

তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের প্রচুর সংখ্যক পর্যটকদের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিৎ।

কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন (টোয়াক) এর সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এই কংক্রিট খন্ডগুলি জোয়ারের সময় পানির নিচে থাকে এবং ভাটার সময় জেগে ওঠে, অনেক পর্যটক জোয়ারের সময় সৈকতে নামেন এবং তারা আহত হন।

এ বিষয়ে কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, পর্যটকের সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

G7 expresses support for Israel, calls Iran source of instability

Israel and Iran attacked each other for a fifth straight day on Tuesday

2h ago