চাঁদা না পেয়ে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে ৮ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ এলাকায় চাঁদা না পেয়ে ইয়াবার মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে আট পুলিশসহ নয়জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ এলাকায় চাঁদা না পেয়ে ইয়াবার মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে আট পুলিশসহ নয়জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

আজ বুধবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দীন মুরাদের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মো. আবদুল ওয়াহেদ। তিনি পেশায় একজন ভূমি মধ্যস্ততাকারী।

মামলায় বায়েজিদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম, পুলিশের দুই উপপরিদর্শক (এসআই), তিন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), দুই কনস্টেবল ও এক পুলিশ সোর্সকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান বাদীর আইনজীবী আলমগীর হোসেন।

তিনি বলেন, ‘আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে সিএমপির উওর জোনের উপকমিশনারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।’

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ১৩ জুলাই রাতে বায়েজিদ থানাধীন মুরাদনগর জামাল কলোনীতে একটি বাসায় জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার জন্য আরও তিনজনের সঙ্গে তিনি বসেছিলেন। তখন সাদা পোশাকে কিছু পুলিশ সদস্য সেখানে আসেন এবং তাদের ধরে নিয়ে থানায় যান।

আইনজীবী আলমগীর বলেন, ‘৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে এসেছেন দাবি করে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায় এবং প্রত্যেকের কাছে দুই লাখ করে টাকা দাবি করেন। অন্যথায় তাদের ইয়াবা মামলা চালান দিবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বায়েজিদ পুলিশ তাদের চারজন থেকে মোট ৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে একটি মাদক মামলায় আদালতে চালান দেয়।’

আবদুল ওয়াহেদকে ২৫ পিস ইয়াবা, তার সঙ্গে থাকা মো. হোসেনকে ২০ পিস, মো. হানিফকে ১৫ পিস ও আবুল হোসেনকে ২০ পিস ইয়াবা দিয়ে চালান দেওয়া হয় বলে মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়

বাদী ওয়াহেদ বলেন, ‘২৩ দিন জেলে থাকার পর কিছুদিন আগে আমরা জামিনে বের হয়েছি।’

এ প্রসঙ্গে বায়েজিদ থানার ওসি প্রিটন সরকার বলেন, ‘আমি এ ঘটনা নিয়ে কিছুই জানি না। তবে, আদালতের কাগজ পেলে তখন জানতে পারবো।’

অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago