বায়ার্ন ‘অপরাজেয় নয়’, হেলায় সুযোগ হারিয়ে একাম্বির উপলব্ধি
বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে নেমে শুরু থেকেই প্রেসিং ফুটবল খেলে দারুণ সুযোগ তৈরি করেছিল অলিম্পিক লিঁও। প্রথম ১০ মিনিটেই অন্তত দুই গোলে এগিয়ে যেতে পারত তারা। হেলায় সুযোগ হারানোর পর ক্রমেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় ফরাসিরা। বড় ব্যবধানে জিতে বায়ার্ন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠলেও লিঁও ফরোয়ার্ড টুকু একাম্বি মনে করছেন, অপরাজেয় নয় জামার্ন জায়ান্টরা। হারানোই যেত তাদের।
বুধবার রাতে পর্তুগালের লিসবনে লিঁওকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে বায়ার্ন মিউনিখ। ২৩ অগাস্ট ফাইনালে আরেক ফরাসী ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)’র বিপক্ষে খেলবে তারা।
অথচ একাম্বিরা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে ইউরোপ সেরার লড়াই হতে পারত দুই ফরাসী ক্লাবের মধ্যেই। স্কোর লাইন ভিন্ন গল্প বললেও খেলার শুরুর দিকে সেই সম্ভাবনা ছিল প্রবল।
বড় দায় নিতে হবে ক্যামেরুনের ফুটবলার একাম্বিকেই। পরিষ্কার দুই সুযোগ যে নষ্ট করেছেন একাই। এছাড়া মিডফিল্ড থেকে আরও কয়েকটি তৈরি করা দারুণ বল কাজে লাগাতে পারেননি দৃষ্টিকটুভাবে।
লিঁওর একের পর এক আক্রমণ আর মিসের মহড়ার মধ্যে পালটা আক্রমণ থেকে বল পেয়েই কাজে লাগিয়ে ফেলেন জার্মান ফরোয়ার্ড সার্জ ন্যাব্রি।। বা পায়ের দারুণ শটে দলকে এগিয়ে নেন তিনি। পরে আরেক গোল করে ন্যাব্রিই বদলে দেন ম্যাচের গতিপথ।
ম্যাচ শেষে আরএমসি স্পোর্টসকে একাম্বি প্রকাশ করেন সুযোগ হারানোর ক্ষত, ‘আমরা আরও অনেক ভাল করতে পারতাম। আমরা গোল করতে পারতাম- আমিই পারতাম প্রথমে।’
‘আজ রাতে তা আমাদের পক্ষে যায়নি। আমরা সহজ কিছু সুযোগ হারিয়েছে আবার ওদের সেরা গোলরক্ষকের কারণেও বল জালে জড়ায়নি।’
পাঁচবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন আছে দুরন্ত ছন্দে। কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত করে দেওয়ার পর লিঁও তাগড়া ভাব দেখানোর পর শেষ পর্যন্ত পাত্তা পায়নি তাদের কাছে।
গত ডিসেম্বর থেকে জার্মান জায়ান্টরা অপরাজেয়। সর্বশেষ ২০ ম্যাচে জয়, ২৯ ম্যাচ থেকে হারের দেখা পায়নি।
তবে একাম্বি বায়ার্নকে নাগালেও পেয়েও ধরতে না পারার আফসোস নিয়ে বলছেন তারা অপরাজেয় নয়, ‘আমি মনে করি না তারা অপরাজেয়। আমরা জানি তারা দারুণ দল। আমরা জানতাম তাদের হারাতে পারব কিন্তু সব কিছু ঠিকঠাক করেও আমরা সেটা করতে পারিনি।
‘মাঝে মাঝে আপনি পারবেন, মাঝে মাঝে না। আজ রাতে কিছু জিনিস গোলমাল করায় জিততে পারিনি আমরা।’
লিঁও কোচ রুডি গার্সিয়াও মনে করছেন খেলার ধরনের সঙ্গে স্কোরলাইনটা বেমানান, ‘স্কোর লাইনটা খুবই সত্যিই নিষ্ঠুর। এমনকি আজ আমরা আমাদের খেলা নিয়ে গর্ব করতে পারি। যদিও প্রথমত এবং সব মিলিয়েই হতাশার রাত।’
‘আমরা সত্যিই ফাইনালে যেতে চেয়েছিলাম। আমরা সেটা বিশ্বাস করে সেভাবেই খেলছিলাম। আমার মনে হয় তারা আমাদের হারিয়ে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে।’
গার্সিয়া মনে করেন শুরুর দুই বড় সুযোগ ফসকে যাওয়াই কাল হয়েছে তাদের, ‘আমরা চূড়ান্ত সাফল্য পাইনি কারণ বড় দুই সুযোগ হারিয়েছি। আমরা যেখানে এগিয়ে যেতে পারতাম সেখানে ন্যাব্রির দুর্দান্ত গোলে পিছিয়ে যাই।’
Comments