নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে নির্বাচকদের
আগে দল ঘোষণা হবে, অনুশীলন ক্যাম্প সেরে সেই দলই যাবে সিরিজ খেলতে। চেনা এই ছক এবার থাকছে না। শ্রীলঙ্কা সফরে বিশাল এক বহর নিয়েই যাবে বাংলাদেশ দল। সেখানেই যাচাই বাছাই করে মূল স্কোয়াড বেছে নেবেন নির্বাচকরা। করোনার কারণেই প্রতি খেলোয়াড়ের জন্যই দলের সঙ্গে রিজার্ভ রাখতে হবে সম্ভাব্য বিকল্পও।
দল বানানো থেকে ঘোষণা করা। সব কিছুতেই তাই ভিন্ন অভিজ্ঞতা পাচ্ছেন বাংলাদেশের দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমন। বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের মধ্যে সভা সেরে জানালেন ভিন্ন ছকে তাদের এবারের যাত্রার পরিকল্পনার কথা।
গত ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ দল। মার্চ মাসে সবশেষ আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন ক্রিকেটাররা।
লম্বা সময়ের বিরতি তো আছেই। সেই বিরতি কাটিয়ে দেশেই আবার পুরোদমে অনুশীলন ক্যাম্পও শুরু করা যাচ্ছে না। স্কোয়াড বেছে নিতে তাই চেনা পদ্ধতির বাইরে যেতে হচ্ছে তাদের। প্রধান নির্বাচক জানালেন তেমন কথাই, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজে আমরা শেষবারের মতো টেস্ট খেলেছিলাম, এখানে অনেকদিন ধরে আমাদের খেলা নেই। অনুশীলনের মধ্যেও নেই, তারপরও অভিজ্ঞতাটাকে আমরা অনেক গুরুত্ব দিচ্ছি। শ্রীলঙ্কা গিয়ে আমাদের অনেকগুলো প্রস্তুতি ম্যাচ আছে, ওইখানেই আমরা মূল স্কোয়াডটা ঘোষণা করব। একটা প্রাথমিক দল নিয়ে সেখানে যাব, শ্রীলঙ্কায় ট্রেনিং সেশনটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
আপাতত জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য ও আশেপাশে থাকাদের নিয়েই করা হচ্ছে একটা প্রাথমিক দল। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই জানিয়ে দেওয়া হবে তা, ‘এই পাঁচ মাস সবার জন্যই একটা লম্বা বিরতি ছিল এই বিরতির মধ্যে কে কতটুকু তাড়াতাড়ি সেরে উঠে, মানসিক দিক দিয়ে নিজেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জন্য প্রস্তুত করতে পারছে এগুলো সব দেখা হবে। এখান থেকে ২০-২২জন নিয়ে যাচ্ছি, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পুরো স্কোয়াডটা প্রস্তুত করব। এরপর সেখানে গিয়ে মূল স্কোয়াড দিব।’
এইচপি ও জাতীয় দল মিলিয়ে ৩৮ জনের একটা বহরের কথা জানিয়েছেন মিনহাজুল। এদের প্রত্যেকের তিনবার করে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়ে তবেই চূড়ান্ত কিছুর দিকে এগুবেন তারা,
‘আমাদের একটা পুল আছে ৩৮জনের। সবাইকে কোভিড টেস্ট করানো হবে। এটা আমরা ব্যাক আপ হিসেবে রেডি রাখছি, ২৪জনের একটা এইচপি স্কোয়াডও সেখানে যাচ্ছে। ওইভাবেই আমরা ব্যালেন্স করে রাখছি, যাকে যখন দরকার হবে ব্যবহার করা হবে।’
‘দেশে তিন বার করোনা পরীক্ষা করে সেখানে গিয়ে আরেকটা টেস্ট হবে। আসলে ২বার টেস্ট না করলে তো বুঝা যাবে না কে নেগেটিভ আছে।’
Comments