কুড়িগ্রামে ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীকে ‘বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার’ অভিযোগ

বাবা ও দাদিকে মারধর করে ধর্ষণের শিকার সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ‘বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার’ অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত ধর্ষকের বিরুদ্ধে।
কুড়িগ্রাম
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

বাবা ও দাদিকে মারধর করে ধর্ষণের শিকার সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ‘বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার’ অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত ধর্ষকের বিরুদ্ধে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার গুঁনাইগাছ ইউনিয়নে।

এ ঘটনায় প্রাণনাশের হুমকিতে রয়েছেন বলেও জানান ভুক্তভোগীর পরিবার।

আজ শুক্রবার সকালে উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গতরাতে অভিযুক্ত ধর্ষকের বাড়িতে পুলিশ গেলে সেখানে তাকে ও ভুক্তভোগীকে পাওয়া যায়নি। ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।’

আজ-কালের মধ্যেই ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করতে পারবেন বলেও আশা করেন তিনি।

ভুক্তভোগীর বাবার অভিযোগ, ‘আমার মেয়েকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে গেছে ধর্ষক ও তার পরিবারের লোকজন। পুলিশ আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে মেয়েকে উদ্ধার করতে পারবে। ধর্ষক ও তার লোকজনকে আটক করতে পারবে।’

‘পুলিশকে সেভাবে আন্তরিক মনে হচ্ছে না’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবেশীর কলেজ শিক্ষার্থী ছেলে বিভিন্ন সময় আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করে আসছিল। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তের নামে চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে।’

এর জের ধরে গতকাল সন্ধ্যায় অভিযুক্ত ধর্ষক ও তার লোকজন বাড়িতে এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যায় বলে জানান তিনি।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত জানুয়ারিতে স্কুলশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে উলিপুর থানা মামলা হয় (মামলা নম্বর ২২, ১১ জানুয়ারি ২০২০)।

স্থানীয়রা জানান, মামলা থেকে রেহাই পেতে অভিযুক্ত ধর্ষক ও তার পরিবার এই অপকৌশল নিয়ে থাকতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago