হায়া সোফিয়ার পর ‘কোরা চার্চ’কে মসজিদে রূপান্তরের ঘোষণা এরদোয়ানের
![Chora Church-1.jpg Chora Church-1.jpg](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/chora_church-1.jpg?itok=xi-Hww-c×tamp=1598012748)
হায়া সোফিয়ার পর তুরস্কের ঐতিহাসিক গির্জা ‘কোরা চার্চ’কে মসজিদে রূপান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। গির্জাটি ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক বাইজেন্টাইন স্থাপত্যকর্মের একটি।
রয়টার্স জানায়, হায়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরের এক মাস পর আজ শুক্রবার এমন ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
প্রাচীন শহর কনস্টান্টিনোপলের প্রাচীরের কাছে নির্মিত মধ্যযুগীয় কোরা গির্জাটির দেয়ালে ১৪ শতকের বাইজেন্টাইন মোজাইক ও বাইবেলের গল্পের চিত্র খচিত আছে।
১৪৫৩ সালে মুসলিম অটোম্যান শাসকরা শহরটি জয় করার পর এর দেয়ালে প্লাস্টার করা হয়। প্রায় ৭০ বছর আগে তুরস্কে ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর হায়া সোফিয়ার মতো এই ভবনটিকেও জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়েছিল।
১৯৪৫ সালে তুরস্কের একটি সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোরা গির্জা, তুর্কি ভাষায় যা কারিয়ে চার্চ নামে পরিচিত, সেটিকে একটি জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই জাদুঘরটি পরিচালিত হতো।
গত বছর তুরস্কের একটি আদালত ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করে।
আজ এরদোয়ান স্বাক্ষরিত ও তুরস্কের সরকারি গেজেটে প্রকাশিত একটি আদেশে ঘোষণা করা হয়েছে যে, ‘কারিয়ে মসজিদের পরিচালনার ভার দেশটির ধর্ম বিষয়ক অধিদপ্তরের অধীনে ন্যস্ত হবে এবং উপাসনার জন্য মসজিদটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।’
শুক্রবার প্রথম নামাজ কখন অনুষ্ঠিত হবে কিংবা সেখানে থাকা খ্রিস্টান শিল্পকর্মের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে এরদোয়ানের আদেশে কিছু জানানো হয়নি।
হায়া সোফিয়ার ক্ষেত্রে দেয়ালে থাকা যিশু ও মাদার মেরির প্রতিকৃতির সামনে পর্দা টানানো হয়েছিল।
চতুর্থ শতাব্দীতে প্রথম সেখানে একটি গির্জা নির্মিত হয়েছিল। ভূমিকম্পে ধ্বংস হওয়ার ২০০ বছর পর একাদশ শতাব্দীতে গির্জাটি আংশিকভাবে পুননির্মিত হয়েছিল। বর্তমানে ভবনের অধিকাংশ শিল্পকর্মই একাদশ শতাব্দীতে তৈরি।
গত মাসে ৮৬ বছর পর হায়া সোফিয়ায় নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান প্রায় ১০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানের সঙ্গে নামাজে অংশ নেন।
হায়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরের ঘটনায় গির্জার নেতা ও পশ্চিমা কয়েকটি দেশ সমালোচনা করে।
সমালোচকরা বলেছেন, মুসলিমদের ইবাদতের জন্য হায়া সোফিয়াকে পুননির্মাণ করা হলে, তাতে ধর্মীয় দ্বন্দ্ব আরও বাড়িয়ে তোলার ঝুঁকি আছে।
Comments