অপহৃত স্কুলছাত্রী নাটকীয়ভাবে উদ্ধার

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নে বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাবা ও দাদীকে পিটিয়ে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে অপহরণের সঙ্গে জড়িত ধর্ষণ মামলার আসামি সোহেল রানা ও অন্যান্যদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নে বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাবা ও দাদীকে পিটিয়ে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে অপহরণের সঙ্গে জড়িত ধর্ষণ মামলার আসামি সোহেল রানা ও অন্যান্যদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

পরিবার ও স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, নাটকীয়ভাবে ঐ স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের ঘটনায় হতবাক হয়েছেন তারা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, উলিপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে আজ রোববার সকালে বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যার দিকে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উলিপুর উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই স্থানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়।’

কী অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না। মামলার তদন্তের স্বার্থে কিছু বিষয় গোপন রাখতে হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’

উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘উদ্ধারকৃত স্কুলছাত্রীকে আজ মেডিকেল টেস্ট সম্পন্ন করে আদালতে সোপর্দ করা হবে। আদালত তার জবানবন্দি শুনে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেবেন।’

অপহরণকারী ধর্ষণ মামলার আসামি সোহেল রানা ও অন্যন্য আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি কেন? উত্তরে তিনি বলেন, ‘পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও আসামিদের খোঁজ না পাওয়ায় এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে শিগগির তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’

স্কুলছাত্রীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, ‘অপহরণকারীর বাবা নুর আলম আমার মেয়েকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। কিন্তু পুলিশ রহস্যজনক কারণে আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না। আমি কাল রাতে থানায় গিয়ে মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। শারীরিক অবস্থাও ভেঙে পড়েছে। আমার মেয়ের সঙ্গে খারাপ কিছু হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এতবড় ঘটনায় রহস্যজনক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।’

পুলিশ জানায়, ভিকটিমের প্রতিবেশি নুর আলমের দ্বাদশ শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে ধর্ষণ মামলার আসামি সোহেল রানা তার লোকজনসহ লাঠিসোটা নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে। এ ঘটনায় পরদিন শুক্রবার দুপুরে মেয়েটির বাবা সোহেল রানাকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।

আগে প্রেমেরজালে ফাঁসিয়ে এই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে সোহেল রানা। এ ঘটনায় উলিপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন মেয়েটির বাবা। (উলিপুর থানার মামলা নম্বর ২২, তাং ১১ জানুয়ারি ২০২০)। এই মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: বাড়িতে হামলা চালিয়ে অপহরণ, ৩ দিনেও উদ্ধার হয়নি স্কুলছাত্রী

Comments

The Daily Star  | English

Global index for free and fair elections suffers biggest decline on record in 2023, democracy watchdog says

Lower voter turnout and increasingly contested results globally are threatening the credibility of elections, an intergovernmental watchdog warned on Tuesday, as its sub-index for free and fair elections suffered its biggest decline on record in 2023

1h ago