শ্রীলঙ্কায় চোখ রেখে রুবেলের ফেরার প্রস্তুতি

করোনাভাইরাস মহামারিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ বন্ধ হতেই নিজ এলাকা বাগেরহাটে ফিরে গিয়েছিলেন রুবেল হোসেন। নদীর বালিতে ফিটনেস ঠিক রাখার কাজ করেছেন। আবার খেলার দিন তারিখ ঠিক হতেই রুবেল ছুটে এসেছেন ঢাকায়। শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট দলে ফেরার তাড়না নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছেন তিনি।
করোনায় সময় রুবেল খেলার বাইরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছিলেন সরব। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়ানোরও চেষ্টা করেছেন। তার মতে ফিটনেস ঠিক রাখার বাইরে ক্রিকেটারদের এরচেয়ে বেশি কিছু করারও ছিল না।
গ্রামের অবারিত প্রান্তর আর নদী থাকায় সেদিক থেকে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন রুবেল, ‘আসলে যখন করোনা আমাদের দেশে খারাপভাবে হানা দিচ্ছে, তখন আমাদের ক্রিকেটারদের কিছুই করার ছিল না। যার যার জেলায় চলে গিয়েছিলাম। নিজেদের মতো ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি। আমি বাগেরহাটে আমার ফিটনেস নিয়ে কাজ করছিলাম। রানিং করেছি, যেহেতু আমার বাসার নদীর পাড়ে, বালিতেই রানিং বেশি করেছি।’
‘বোলিং-ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাইনি। আর প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছিল।’
দুদিন থেকে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছেন রুবেল। রোববার অনুশীলনের ফাঁকে জানালেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি প্রাধান্য দিয়েই এতদিন নির্দেশ পালন করেছেন, ‘করোনা তো আমাদের হাতে নেই। দেশব্যপী মহামারী আকার নিয়েছে, তার পরও যতটুকু পারা যায় সচেতন থাকার চেষ্টা করেছি, ক্রিকেট বোর্ড থেকে যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছে, সেভাবেই ফিটনেস নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি।’
বাগেরহাটে ফিটনেস নিয়ে কাজ করলেও স্কিল অনুশীলনের সুযোগ মেলেনি। মিরপুরে এসে সকল সুবিধা নিয়ে বোলিং শুরু করতে পারার স্বস্তি তার। দীর্ঘ ১১ বছরের ক্যারিয়ারে কখনই টেস্ট দলে থিতু হতে পারেননি। টেস্টে তার বোলিং গড়ও ভীষণ বিব্রতকর। পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট খেলেছিলেন। তাতে ১১৩র রানে পান ৩ উইকেট। যার দুটো আবার টেল এন্ডারদের।
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আবার মেলেনি জায়গা। ২৭ টেস্টে ৭৬.৮ গড়ে মাত্র ৩৬ উইকেট নিতে পারা রুবেল এই পরিসংখ্যান বদলাতে চান। শ্রীলঙ্কা সফরে দলে ফেরাকেই তাই মূল লক্ষ্য ঠিক করে প্রস্তুত হচ্ছেন তিনি, ‘আমার মনোযোগ মূলত শ্রীলঙ্কা সিরিজে। আমার লক্ষ্য থাকবে মূলত দলে সুযোগ পাওয়া, পাশপাশি সুযোগ পেলে ভালো খেলার আপ্রাণ চেষ্টা করব। আমি সে অনুযায়ীই অনুশীলন করছি ফিটনেস, বোলিং, স্কিল কিভাবে আরও ভালো করা যায়, কাজ করছি।’
Comments