মানিকগঞ্জে ৩৯ লাখ টাকাসহ ‘ইভ্যালী ইকমার্স’র ৩ কর্মী আটক

টাকা নিয়ে গ্রাহককে সময় মতো পণ্য না দেওয়াসহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ‘ইভ্যালী ইকমার্স’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৯ লাখ টাকাসহ ব্যবস্থাপক ও দুই কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত

টাকা নিয়ে গ্রাহককে সময় মতো পণ্য না দেওয়াসহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ‘ইভ্যালী ইকমার্স’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৯ লাখ টাকাসহ ব্যবস্থাপক ও দুই কর্মীকে আটক করা হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে পারিল বাজারে অবস্থিত ইভ্যালী ইকমার্স নামের ওই প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে অভিযান চালান সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লা।

অভিযানে ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক বিপ্লব মিয়া (২৫), সহকারী ব্যবস্থাপক ববিদুল ইসলাম (২৫) এবং জামালকে (৩৮) আটক করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লা বলেন, ‘ইভ্যালী ইকমার্স নামের প্রতিষ্ঠানটি বলধরা এলাকার পারিল বাজারে একটি অফিস বসিয়ে গ্রাহককে বেশি মুনাফার প্রলোভন ও বিভিন্ন পণ্যের আকষর্ণীয় অফার দিয়ে পণ্য বিক্রি ও চাহিদাকৃত পণ্য সময় মতো না দিয়ে গ্রাহকরে সঙ্গে বেশ কয়েক মাস ধরে প্রতারণা করে আসছিল।’

তিনি জানান, অভিযান চলাকালে এলাকাবাসীরা তার কাছে অভিযোগ করেন- প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন বিকাশ ও নগদে প্রায় এক থেকে দেড় কোটি টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু, প্রতিষ্ঠানটির কোনো ব্যাংক একাউন্ট নেই। 

আটককৃতদের দেওয়া তথ্য মতে, তারা ইভ্যালী ইকমার্সের নামে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইলে কিংবা অনলাইনে নানান ধরনের প্রোডাক্ট অর্ডার নেন। পরে তা গ্রাহকদের পৌঁছে দিয়ে থাকেন। কিন্তু, এর আড়ালে ওই প্রতিষ্ঠানটি অল্প দিনে অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিদিন বলধরা শাখায় এক থেকে দেড় কোটি টাকা বিকাশ ও নগদে গ্রহণ করেছে।

মানিকগঞ্জে কর্মরত একজন সরকারি চাকরিজীবীকে চার লাখ টাকা বিনিয়োগের বিনিময়ে মাত্র পনেরো দিনে ৬ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে লোভ দেখায় তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই সরকারি কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির প্রলোভনের মাত্রা এতটাই বেশি ছিলো তা নিয়ে যে কোনো সচেতন ব্যক্তির সন্দেহ হবে। এজন্য তিনি ইভ্যালী ইকমার্সের প্রলোভন থেকে সরে আসেন।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান হেনা আক্তার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে এভাবে প্রতারণার ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিষয়টি জানলেও ইভ্যালী ইকমার্স তাদের ম্যানেজ করে এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলো বলে অভিযোগ আছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লা বলেন, ‘এ ঘটনার পর থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হেনা আক্তার পলাতক আছেন। তাকে আটকে আমাদের অভিযান অব্যহত আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আটককৃদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা হচ্ছে।’

Comments

The Daily Star  | English

3 quota protest leaders held for their own safety: home minister

Three quota protest organisers have been taken into custody for their own safety, said Home Minister Asaduzzaman Khan

30m ago