চুরির অভিযোগে যুবককে হাতমোড়া করে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ
চুরির অভিযোগে মোশারফ হোসেন মামুন (২০) নামে এক যু্বককে পিছনে হাতমোড়া করে বাঁশ দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের পশ্চিম হাড়িভাঙ্গা হলদিটারী গ্রামে গত বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। পরে পুলিশ গিয়ে যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর চুরির মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামুনের বাবা শফিকুল ইসলাম (৪৮) দাবি করেন, স্থানীয় নবিয়ার সাথে ২৭ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তার ছেলেকে এভাবে আটক করে নির্যাতন করা হয়েছে।
তিনি জানান, মামুন বাড়ির পাশে কৈগাড়ি বিলে মাছ ধরতে ভোরে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। যাওয়ার পথে স্থানীয় নবিয়ার ও তার লোকজন মামুনকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে পিছনে হাতমোড়া করে বাঁশ দিয়ে বেঁধে বেদম মারপিট করে। ‘আমি বৃহস্পতিবার সকালে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে কিন্তু রহস্যজনক কারণে তাকে চুরির মামলা দিয়ে জেলে পাঠায়,’ বলেন তিনি।
‘আমার ছেলে আমাকে বলেছে তাকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেদম পেটানো হয়েছে। তাকে প্রাণে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মামুন জানিয়েছে তাকে বেঁধে তার পকেটে জোরপূর্বক তিন হাজার টাকা ঢুকিয়ে দিয়েছে নবিয়ার ও তার লোকজন।’
এ বিষয়ে চুরি মামলার বাদী নবিয়ার রহমান (৭০) জানান, বৃহস্পতিবার ভোরবেলা কাঠের দরজা খুলে ঘর থেকে নগদ তিন হাজার টাকা ও কিছু আসবাবপত্র নিয়ে পালানোর সময় মোশারফ হোসেন মামুনকে আটক করা হয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
যুবককে পিছনে হাতমোড়া করে বাঁশ দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ব্যাপারে তিনি বলেন, মামুনকে কোন আঘাত কিংবা নির্যাতন করা হয়নি। তবে পুলিশ না আসা পর্যন্ত তাকে বেঁধে রাখার কথা স্বীকার করেন তিনি।
লালমনিরহাট সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হালিমুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, চুরি যাওয়া তিন হাজার টাকা মামুনের পকেট থেকে উদ্ধার করা হয়। বাড়ির মালিক নবিয়ার রহমান মামলার বাদী হলে চুরি মামলায় মামুনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, চোর অভিযোগে আটক মামুনকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছিল। পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Comments