শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ইন্টারনেট সরবরাহে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই
অনলাইন ক্লাসে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে উপাচার্যদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিনামূল্যে ইন্টারনেট প্যাকেজ সরবরাহের প্রস্তাব নিয়ে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট সহজলভ্য করার উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। এর পর প্রায় দুই মাস কেটে গেলেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ নেই বা গ্রামে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হওয়ার একমাত্র উপায় মোবাইল ইন্টারনেট। কিন্তু মোবাইল ইন্টারনেট ব্যয়বহুল হওয়ায় গত জুনের শেষে ইউজিসি বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সরবরাহের জন্য উদ্যোগী হতে বলে সরকারকে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বল্প খরচে ইন্টারনেট প্যাকেজের ব্যবস্থা করার জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংগঠন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে চিঠি দিয়েছিল ১৫ জুন। ৬ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান এ ব্যাপারে তারা মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন।
ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত সচিব ফেরদৌস জামানের ধারণা, উচ্চশিক্ষায় ৩৯ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০ লাখের ইন্টারনেট সংযোগ পেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ইন্টারনেট প্যাকেজের উচ্চমূল্যের কারণে তাদের এই সমস্যা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘গ্রাম ও প্রত্যন্ত এলাকায় যে শিক্ষার্থীরা থাকেন তাদের ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি। বিনামূল্যে ইন্টারনেট সরবরাহের জন্য সরকারের উদ্যোগের অপেক্ষায় আছি আমরা।’
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনে দিতে ইউজিসি তালিকা তৈরির কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে আসা তালিকার ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রেখেছে সরকার। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে সেশন জট তৈরি হওয়ারও ঝুঁকি বাড়বে।
Comments