ইচ্ছার বিরুদ্ধে থাকলেও বার্সায় নিজের সেরাটাই দিবেন মেসি

বুরোফ্যাক্সে শুরু। এরপর করোনাভাইরাসের পিসিআর পরীক্ষায় অনুপস্থিত। এমনকি অনুশীলনেও না যোগ দেওয়া। বার্সেলোনা ছাড়তে যে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন লিওনেল মেসি তা স্পষ্ট। কিন্তু তারপরও ছাড়তে পারেননি। অসন্তুষ্টি নিয়েই কাতালান ক্লাবটিতেই থাকতে হচ্ছে তাকে। তাতে অনেকেরই মনে শঙ্কা জেগেছে খেলায় মনোযোগ থাকবে তো এ আর্জেন্টাইন তারকার?
সবার প্রশ্নের উত্তরটা যেন আগেই দিয়ে দিয়েছেন মেসি। যতই ক্লাব ছেড়ে যেতে চান না কেন, নিজের জন্যই সেরাটা দিয়ে খেলবেন বলেই অঙ্গীকার করেছেন এ তারকা। ফুটবলভিত্তিক ওয়েবসাইট গোলডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, 'আমি বার্সেলোনায় চালিয়ে যাব এবং আমার মনোভাব কখনোই বদলাবে না, যতই না আমি ক্লাব ছেড়ে চলে যেতে চাই। আমি সবসময় জিততে চাই, আমি প্রতিযোগী এবং আমি কিছু হারতে পছন্দ করি না। আমি সবসময় ক্লাবের, ড্রেসিংরুমের এবং নিজের ভালো চাই।'
নতুন কোচ রোনাল্ড কোমানের সঙ্গে প্রথম আলোচনাটাই মেসির পক্ষে যায়নি। তাকে সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে কোনো সুবিধা দেওয়া হবে না বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এ ডাচ কোচ। কিন্তু তারপরও নিজের খেলায় কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই জানান এ আর্জেন্টাইন তারকা, 'আমি একসময় বলেছিলাম যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার জন্য আমাদের সমর্থন দেওয়া হয়নি। আসলে, এখন আমি জানি না কী হবে। একজন নতুন কোচ এবং নতুন ধারণা। এটা ভালো, তবে আমাদের দেখতে হবে যে দল কেমন প্রতিক্রিয়া জানায় এবং শীর্ষ পর্যায়ে আমাদের দল কেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। আমি যা বলতে পারি তা হচ্ছে আমি থাকছি এবং বার্সেলোনার হয়ে আমি আমার সেরাটা দিতে যাচ্ছি।'
এদিকে মেসির প্রিয় সতীর্থদের বিদায় বলে দিয়েছেন কোমান। লুইস সুয়ারেজ, আর্তুরো ভিদাল ও ইভান রাকিতিচদের নতুন ক্লাব খুঁজে নেওয়ার কথা বলেছেন। তাতে ক্লাবে অনেকটা বন্ধুহীন হয়ে পড়তে যাচ্ছেন মেসি। কিন্তু নিজেকে একা মনে করেন না বার্সা অধিনায়ক, 'আমি একা অনুভব করি না। আমি একা নই। যারা আছেন সবসময় আমার পাশে ছিলেন। এটি আমার পক্ষে যথেষ্ট এবং আমাকে শক্তিশালী করে।'
উল্লেখ্য, দিন দশেক আগে এক বুরোফ্যাক্স বার্তায় বার্সেলোনা ছেড়ে যেতে চাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলেন মেসি। চুক্তির ধারা অনুযায়ী, ফ্রি ট্রান্সফারে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ক্লাব সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর এক পয়সা কমে ছাড়তে রাজী নন। ফলে তখন থেকেই শুরু হয় নানা টানাপোড়ন। শেষ পর্যন্ত বার্সায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছেন মেসি।
Comments