করোনায় মারা গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা কে এস ফিরোজ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মঞ্চ, বেতার, টেলিভিশন ও সিনেমার বর্ষীয়ান অভিনেতা খন্দকার শহীদ উদ্দিন ফিরোজ (কে এস ফিরোজ)।
আজ ভোর ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
আরেক জ্যেষ্ঠ অভিনেতা ও অভিনয় শিল্পী সংঘের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মিনু দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৯৬৮ সালে প্রথম টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেন কে এস ফিরোজ। প্রথম অভিনীত টিভি নাটকের নাম ‘তবুও দ্বীপ জ্বলে’। অভিনয় জীবনে পাঁচ শতাধিক টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
থিয়েটার আরামবাগ’র প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন এই নাট্যদলের সভাপতিও ছিলেন। নিজ নাট্যদলের হয়ে অভিনয় করেছেন ‘সাতঘাটের কানাকড়ি’, ‘কিং লিয়ার’সহ বেশ কয়েকটি মঞ্চ নাটকে। ‘সাতঘাটের কানাকড়ি’ ঢাকার মঞ্চের একটি আলোচিত ও প্রশংসিত নাটক।
প্রথম অভিনীত সিনেমার নাম ‘লাওয়ারিশ’। এ ছাড়া, অভিনয় করেছেন ‘বাঁশি’, ‘বৃহন্নলা’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ও ‘শঙ্খনাদ’সহ বেশ কিছু সিনেমায়।
অভিনয় শিল্পীর বাইরে ব্যক্তিগত জীবনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন কে এস ফিরোজ। ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত হন। ১৯৭৭ সালে মেজর পদ থেকে অব্যাহতি নেন গুণী এই অভিনেতা।
অল্প কিছুদিন ধরে কে এস ফিরোজের শরীর বেশি ভালো যাচ্ছিল না। পরিবারের সদস্যরা তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন। সেখানেই মারা যান তিনি।
অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম জানিয়েছেন, কে এস ফিরোজের পরিবার জানিয়েছেন- তার করোনা পজিটিভ এসেছিল।
স্ত্রী, তিন কন্যা এবং অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন কে এস ফিরোজ। তার মারা যাওয়ার খবর শুনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে অভিনয় জগতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে অনেকেই স্মরণ করছেন তাকে। অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন, ‘দেখা হবে ফিরোজ ভাই, ভালো থাকবেন আপন ঠিকানায়।’
অভিনয় শিল্পী সংঘের নেতারা আরও জানিয়েছেন, আজ বনানীর সামরিক কবরস্থানে তার জানাজা হবে এবং সেখানেই তার দাফন সম্পন্ন হবে।
Comments