খেলা

পরিসংখ্যানে রোনালদোর গোলের সেঞ্চুরি

২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয়েছিল রোনালদোর। ১৭ বছর পর ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি।
ronaldo
ছবি: টুইটার

ফ্রেন্ডস অ্যারেনা বরাবরই ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর জন্য পয়া। এই মাঠে স্বাগতিক সুইডেনের সঙ্গে নজরকাড়া হ্যাটট্রিকে পর্তুগালকে ২০১৪ বিশ্বকাপের মূল পর্বে তুলেছিলেন তিনি। সেখানেই একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে শততম আন্তর্জাতিক গোলের বিরল কীর্তির স্বাদ নিলেন সিআর সেভেন।

মঙ্গলবার রাতে চলতি বছরে প্রথমবারের মতো পর্তুগালের জার্সিতে খেলতে নেমেছিলেন রোনালদো। নেমেই বাজিমাত। উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচে জোড়া গোল করে দলকে পাইয়ে দেন কাঙ্ক্ষিত জয়। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গোল সংখ্যাকে ১০১-এ উন্নীত করেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা। সেঞ্চুরি পূরণ করতে তাকে খেলতে হয়েছে ১৬৫ ম্যাচ।

২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয়েছিল রোনালদোর। ১৭ বছর পর ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে। আর আটটি গোল করতে পারলে ইরানের আলি দাইয়ের সর্বোচ্চ ১০৯ গোলের রেকর্ডে ভাগ বসাবেন তিনি। নয়বার লক্ষ্যভেদ করলে গড়বেন নতুন ইতিহাস।

৩৫ বছর বয়সী রোনালদোর গোলের সেঞ্চুরি নিয়ে চমকপ্রদ কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলো দ্য ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য।

পরিসংখ্যান:

৬- ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার বর্তমান র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ২০ দলের ছয়টির বিপক্ষে একাধিক গোলের নজির রয়েছে রোনালদোর। দলগুলো হলো: নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, স্পেন, সুইজারল্যান্ড ও সুইডেন।

৭- লিথুয়ানিয়া ও সুইডেনের বিপক্ষে সর্বোচ্চ সাতটি করে গোল করেছেন রোনালদো। লিথুয়ানিয়ার বিপক্ষে গোলগুলো এসেছে মাত্র দুই ম্যাচে, ২০২০ উয়েফা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে।

১৪- পর্তুগালের জার্সিতে সেরা সময়টা রোনালদো উপভোগ করেছেন ২০১৬-১৭ মৌসুমে। সেবার ১৪ গোল করেছিলেন তিনি। একইসঙ্গে ক্লাব পর্যায়েও অর্জন করেছিলেন দারুণ সাফল্য। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জিতেছিলেন স্প্যানিশ লা লিগা ও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।

২৪- ডান পা, বাম পা কিংবা মাথা, তিনটি ব্যবহারেই দারুণ সফল রোনালদোর জুড়ি মেলা ভার। তার ১০১ গোলের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এসেছে হেড থেকে (২৪টি), যা কিনা তার বা পায়ের গোলসংখ্যার চেয়ে বেশি (২২টি)।

৩০- বাকিদের শরীরে যখন ক্লান্তি ভর করে, রোনালদো তখন যেন হয়ে ওঠেন দুরন্ত। ম্যাচের শেষ ১৫ মিনিটে (৭৫ মিনিটের পর থেকে) মোট ৩০টি গোল করেছেন তিনি, যা অন্য সব মধ্যবর্তী সময়ের চেয়ে বেশি।

৬৬- পর্তুগিজদের হয়ে মোট ৬৬ ম্যাচে গোল করেছেন রোনালদো। এর মধ্যে দলটি জিতেছে ৫৫ ম্যাচে, ড্র করেছে পাঁচটিতে আর হেরেছে বাকি ছয়টিতে। তিনি হ্যাটট্রিক করেছেন নয়টিতে, জোড়া গোল পেয়েছেন ১৫ ম্যাচে আর একবার করে লক্ষ্যভেদ করেছেন ৪২ ম্যাচে।

এক নজরে রোনালদোর গোলের সেঞ্চুরি:

ম্যাচ- ১৬৫

গোল- ১০১

ঘরের মাঠে- ৪৭, প্রতিপক্ষের মাঠে- ৩৯, নিরপেক্ষ ভেন্যুতে- ১৫

হ্যাটট্রিক- ৯ (চার গোল- ২)

ডান পা- ৫৫, বাম পা- ২২, হেড- ২৪

প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে- ৮৪, প্রীতি ম্যাচে- ১৭।

রেকর্ড:

১. উয়েফা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে সবচেয়ে বেশি গোল- ৯ (ফ্রান্সের সাবেক তারকা মিশেল প্লাতিনির সঙ্গে যৌথভাবে)

২. উয়েফা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে সবচেয়ে বেশি গোল (বাছাইপর্বসহ)- ৪০

৩. বিশ্বকাপের উয়েফা অঞ্চলের বাছাইপর্বে সবচেয়ে বেশি গোল- ৩০

৪. উয়েফা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আসরে গোল- ৪।

Comments

The Daily Star  | English

Witnessing atrocities in Gaza on social media

Social media's addition as a new paradigm to news dissemination and consumption is not a recent development. Yet, with the ongoing Israeli attack and occupation of Gaza, it is playing a more prominent role than usual, given the deep differences that exist between how news from the region is being packaged by media outlets in the West and the rest of the world

21m ago