ওয়াহিদা আইসিইউতেই আছেন, শনিবার মাথার সেলাই কাটার সম্ভাবনা আছে: ডা. বদরুল হক
ইউএনও ওয়াহিদাকে আজ কেবিনে দেওয়া হয়নি। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য আজকে নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করেছে। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তে তাকে এখনই আইসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হচ্ছে না।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ধারণা করেছিলাম আজকে হয়তো তাকে কেবিনে দেওয়া যেতে পারে। সেখান থেকে সরে আসার একটি কারণ হচ্ছে সতর্কতা। মাথার ইনজুরির ক্ষেত্রে সাধারণত অপারেশনের ৮-১০ দিন পরেও জটিলতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। ওনার মাথায় অনেকগুলো ইনজুরি ছিল। এ কারণে সতর্কতার জন্য তাকে কেবিনে না দিয়ে আইসিইউতে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
অধ্যাপক ডা. বদরুল হক বলেন, ‘আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, মাথার সেলাই কাটার আগ পর্যন্ত তিনি আইসিইউতেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন। আশা করছি আগামী শনিবার হয়তো মাথার সেলাই কাটার সম্ভাবনা আছে। যদি সেদিন সেলাই কাটার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে ওইদিন কেবিনে দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমনিতেই ওনার শারীরিক অবস্থার উন্নতির যে ধারা ছিল তা সেরকমই আছে। তার শরীরের এক অংশ যে প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছিল সেটার ফিজিওথেরাপি চলছে।’
এর আগে গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি জানিয়েছিলেন, আগের চেয়ে ওয়াহিদার অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে আজ কেবিনে নেওয়া হতে পারে।
গত সপ্তাহে বুধবার রাতে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসার টয়লেটের ভেল্টিলেটর ভেঙে দুর্বৃত্তরা ঢুকে হামলা চালায়। এ সময় ওয়াহিদার বাবা এগিয়ে আসলে তাকেও আঘাত করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন যুবলীগের স্থানীয় নেতা আসাদুল ইসলামকে সাত দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
ইউএনও ওয়াহিদাকে কাল কেবিনে দেওয়া হতে পারে: ডা. বদরুল হক
ভূমি দখলকারীদের রোষানলে ছিলেন ইউএনও ওয়াহিদা
Comments