নিরাপত্তার অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্রে হাজারেরও বেশি চীনা নাগরিকের ভিসা বাতিল

নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে এক হাজারেরও বেশি চীনা নাগরিকের ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ছবি: রয়টার্স

নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে এক হাজারেরও বেশি চীনা নাগরিকের ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত ২৯ মে দেশটির প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক ঘোষণায় চীনা শিক্ষার্থী ও গবেষকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন।

তার ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতেই ভিসার ব্যাপারে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের এক মুখপাত্র।

পররাষ্ট্র বিভাগের ওই মুখপাত্র বলেন, ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রেসিডেন্সিয়াল প্রোক্লেইমেশন ১০০৪৩ এর সাপেক্ষে ভিসার জন্য অযোগ্য মনে করা এক হাজারেরও বেশি চীনা নাগরিকের ভিসা বাতিল করা হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, চীন থেকে শিক্ষার্থীদের একটি ছোট অংশ নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি হতে পারে এমন বিষয়ে পড়তে কিংবা গবেষণার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। বৈধ শিক্ষার্থী ও গবেষকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

২৯ মে ঘোষণায় ট্রাম্প হংকংয়ের গণতন্ত্রের ওপর চীনের হস্তক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবেও এটি করা হয়েছে বলে জানান।

গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার বিরোধিতা করে চীন। সে সময় পারস্পরিক বিনিময় ও বোঝাপড়া বাড়াতে ওয়াশিংটনকে আরও বেশি আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানায় বেইজিং।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় তিন লাখ ৬০ হাজার চীনা শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।

এর আগে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শাদ উলফ জানান, চীনের সামরিক ফিউশন কৌশলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কিছু নির্দিষ্ট চীনা গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য ভিসা আটকে দিচ্ছে ওয়াশিংটন।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও গবেষণা পাচার হওয়ার আশঙ্কা থেকেই চীনের মিলিটারি ফিউশন স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে যুক্ত গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না।

এক বক্তব্যে তিনি জানান, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত গবেষণা চুরির চেষ্টাসহ অনৈতিক ব্যবসায়িক অনুশীলন ও গুপ্তচরবৃত্তির জন্য চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন শিক্ষা ব্যবস্থায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা দেওয়ার যে ব্যবস্থা রয়েছে বেইজিং তার অপব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।

চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, ‘চীন যেন প্রতিটি মানুষের অন্তর্নিহিত মর্যাদাকে সম্মান করে সেই দাবি জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ক্রীতদাসের শ্রম থেকে উৎপাদিত পণ্যগুলোকে নিজেদের বাজারে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago