নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণ মামলা সিআইডিতে স্থানান্তর
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ হেডকোয়াটারের নির্দেশে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়। কিছুক্ষণ আগেই আমি এ নির্দেশ পেয়েছি।’
এর আগে গত ০৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ‘অবহেলা ও গাফিলতির’ অভিযোগ এনে ফতুল্লা মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ন কবির বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তবে এ মামলায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
দায়িত্ব পাওয়ার পরই সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন, ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন সিআইডির সদস্যরা।
গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে মামলার সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সিআইডির পরিদর্শক বাবুল হোসেন বলেন, ‘এটি একটি চাঞ্চল্যকর মামলা। তাই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাক্ষী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছি, অপরাধী যেই হোক তাকে আমরা খুঁজে বের করবো এবং তাকে বা তাদেরকে তথ্য প্রমাণসহ আমরা আইনের কাছে সোপর্দ করবো। এটা আমাদের ব্রত। শনিবার আমাদের ঊর্ধ্বতনরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যে দিক নির্দেশনা দিবেন সেভাবে কাজ চলবে।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনার শুরু থেকে আমরা ছায়া তদন্ত করছি। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে কয়েকটি তদন্ত কমিটিও হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আমরা সবকিছুই দেখবো। তবে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। তদন্তের পরই বিস্তারিত জানানো হবে।’
উল্লেখ্য গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে পৌনে ৯টায় ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে মসজিদের মুয়াজ্জিন, ইমাম, শিশু, শিক্ষার্থী, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও ফটো সাংবাদিকসহ ৩৯ জন দগ্ধ হন। যাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে গত শুক্রবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ৩১ জন মৃত্যুবরণ করেন।’
Comments