অবৈধ বিলবোর্ড অপসারণে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে অভিযান: মেয়র আতিক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, প্রজেক্ট সাইন, শপ সাইন ইত্যাদি অপসারণে মোবাইল কোর্ট ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। ফাইল ছবি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, প্রজেক্ট সাইন, শপ সাইন ইত্যাদি অপসারণে মোবাইল কোর্ট ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘তবে এ সকল অবৈধ সাইনবোর্ড, প্রজেক্ট সাইন, শপ সাইন ইত্যাদির অনুমোদন নেওয়ার জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে।’

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় এক ভার্চুয়াল প্রস্তুতিমূলক সভায় মেয়র এ কথা বলেন।

সভায় আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডিএনসিসি এলাকায় কেউ কেউ অবৈধভাবে বিলবোর্ড স্থাপন করে বিজ্ঞাপন প্রচার করছেন। এ ছাড়া, অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রিয়েল এস্টেট কোম্পানি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ডিএনসিসির অনুমোদন ব্যতীত শপ সাইন, প্রজেক্ট সাইন, সাইনবোর্ড, প্যানাফ্লেক্স, ব্যানার, ফেস্টুন ইত্যাদি ব্যবহার করছেন। আবার প্রতিটি দোকানে একটি করে সাইনবোর্ড ব্যবহারের কথা থাকলেও অনেক প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে একাধিক সাইনবোর্ড ব্যবহার করছেন। অনেকে নির্ধারিত মাপের চেয়ে বড় সাইনবোর্ড ব্যবহার করছেন। এর ফলে নগরীর সৌন্দর্যহানির পাশাপাশি ডিএনসিসি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’

মেয়র আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে সব অনুমোদনহীন বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, প্রজেক্ট সাইন, শপ সাইন, প্যানাফ্লেক্স, ব্যানার, ফেস্টুন ইত্যাদি স্ব-উদ্যোগে ডিএনসিসির রাজস্ব বিভাগ থেকে অনুমোদন গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেন।

তিনি বলেন, ‘অন্যথায় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে অনুমোদনহীন বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, প্রজেক্ট সাইন, শপ সাইন, প্যানাফ্লেক্স, ব্যানার, ফেস্টুন ইত্যাদি অপসারণের লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

সভায় ফুটপাত ও সড়কে অবৈধভাবে রাখা নির্মাণসামগ্রী ও অন্যান্য স্থাপনা অপসারণে তাৎক্ষণিক নিলাম কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।

এ বিষয়ে জনগণের অবগতির জন্য মাইকিং এবং গণমাধ্যমে গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হবে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. হামিদুর রহমান মিয়াসহ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago