ছেলেকে ‘হত্যার’ অভিযোগ সাবেক সংসদ সদস্য বাবার

ছেলে ব্যারিস্টার আসিফ ইমতিয়াজ খান জিসাদকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সিরাজগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম খান।
Asif-1.jpg
আসিফ ইমতিয়াজ খান জিসাদ। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

ছেলে ব্যারিস্টার আসিফ ইমতিয়াজ খান জিসাদকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সিরাজগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম খান।

আজ শনিবার দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে আত্মহত্যা করার মতো দুর্বল মানসিকতার ছিল না। সে আইন পেশায় পড়াশোনা করেছে, সে একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর শুরু থেকেই বিষয়টিকে আত্মহত্যা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’

সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, ‘ঘটনা ঘটেছে ভোর সাড়ে ৪টায়। কিন্তু আমাদের জানানো হয়েছে সাড়ে ৬টায়। আমরা হাসপাতালে গিয়ে দেখি ছেলে আর বেঁচে নেই।’

তিনি জানান, আসিফের স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক অসন্তোষ ছিল। যে কারণে আসিফকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গতকাল ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর কাঠালবাগান ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ১৬৩ নম্বর বাসার নয় তলার বারান্দা থেকে নীচে পড়ে যান আসিফ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাড়ে ৫টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় গতকাল কলাবাগান থানায় একটি ‘অপমৃত্যু’ মামলা দায়ের করা হয়েছে। কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসিফের মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মরদেহের ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। সেটি পেলে কারণ বোঝা যাবে। এর আগে এ বিষয়ে কিছুই বলা যাবে না।’

পরিবারের পক্ষ থেকে ‘হত্যার’ অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা মরদেহ নিয়ে গিয়ে দাফন করেছেন। তারপর কেউ আর কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেননি।’

আসিফের পরিবার সূত্র জানায়, চার বছর আগে সাবরিনা শাহিদ নিশিতাকে বিয়ে করেন আসিফ। বিয়ের পর তিনি কাঠালবাগানে শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। আসিফ দম্পতির কোনো সন্তান নেই।

পরিবার আরও জানায়, আসিফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ব্যারিস্টারি পাশের পর সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করছিলেন। পাশাপাশি তিনি মতিঝিলে দেশ ট্রেডিং কর্পোরেশনের লিগ্যাল অ্যাডভাইজারের দায়িত্বেও ছিলেন।

Comments