৫ লাল কার্ডের ম্যাচে ভাগ্য বদলাল না পিএসজির
শারীরিক শক্তি প্রদর্শনের ম্যাচের শেষ মুহূর্তে একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে মারামারিতে জড়িয়ে পড়লেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। নেইমারসহ প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) তিন জনকে দেখানো হলো লাল কার্ড। রেফারির সিদ্ধান্তে অলিম্পিক মার্সেইয়ের দুই ফুটবলারকেও ছাড়তে হলো মাঠ।
করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠে নেইমার, আনহেল দি মারিয়া, লেয়ান্দ্রো পারেদেসরা ফিরলেও ভাগ্য বদল হলো না পিএসজির। আগের রাউন্ডের মতো রবিবার রাতেও ১-০ গোলের ব্যবধানে হারতে হলো তাদেরকে। উত্তেজনাপূর্ণ ও ফাউলময় ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দেন মার্সেইয়ের ফরাসি ফরোয়ার্ড ফ্লোরিয়ান থুভান।
ফরাসি লিগ ওয়ানের ২০২০-২১ মৌসুমের প্রথম দুই ম্যাচেই হারের তিক্ত স্বাদ নিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। সবশেষ এমন ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে। আর ২০১১ সালের পর প্রথমবার প্যারিসিয়ানদের হারাতে সক্ষম হলো মার্সেই। মাঝে দুদল মুখোমুখি হয়েছিল ২০ বার।
পুরো ম্যাচে ছিল না ফুটবলের স্বাভাবিক গতি ও ছন্দ। শুরু থেকেই একের পর এক ফাউলে বারবার ছেদ পড়েছে খেলায়। দুদলের খেলোয়াড়রা ছিলেন যেন যুদ্ধংদেহী মেজাজে! পাঁচটি লাল কার্ড ও ১২টি হলুদ কার্ড মিলিয়ে মোট ১৭টি কার্ড দেখাতে হয়েছে রেফারিকে। যা একবিংশ শতাব্দীতে লিগ ওয়ানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে পিএসজির পারেদেস ও মার্সেইয়ের দারিও বেনেদেত্তোর মধ্যে একটি ফাউল নিয়ে শুরু হয় লড়াই। এরপর তাতে জড়িয়ে পড়েন বাকিরা। ধাক্কাধাক্কি, মাথায় আঘাত করা, লাথি দেওয়া- কী ঘটেনি! উত্তাপ কমে এলে লাল কার্ড দেখেন পিএসজির নেইমার, পারেদেস ও লেভিন কুরজাওয়া এবং মার্সেইয়ের বেনেদেত্তো ও জর্ডান আমাভি।
চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে খেলতে নেমেছিল পিএসজি। হাজার পাঁচেক দর্শকের সামনে বল দখলে দ্বিগুণেরও বেশি ব্যবধানে এগিয়ে থাকার পাশাপাশি আক্রমণেও একচেটিয়া আধিপত্য দেখায় দলটি। কিন্তু বেশ কিছু সুবর্ণ সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। নেইমারদের দুর্বল ফিনিশিং তো ছিলই, বাঁধার দেয়াল হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলে অতিথি গোলরক্ষক স্তিভ মাদাঁদাঁ।
খেলার ধারার বিপরীতে ৩১তম মিনিটে দিমিত্রি পায়েতের ফ্রি-কিক থেকে মার্সেইকে এগিয়ে দেন থুভান। তার বাঁ পায়ের নিখুঁত লক্ষ্যভেদ গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য। পরবর্তীতে অবশ্য দুদলই বল জালে পাঠিয়েছিল। ৬১তম মিনিটে দি মারিয়া আর পরের মিনিটে বেনেদেত্তো করেন লক্ষ্যভেদ। কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয় গোলগুলো।
Comments