পেনশন ও বেতন আটকে রাখার অভিযোগ

রাবি উপাচার্যসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাবেক উপাচার্যের স্ত্রীর মামলা

পেনশন ও বেতন-ভাতার টাকা নিয়ম বহির্ভূতভাবে আটকে রাখার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানসহ শীর্ষ ছয় কর্মকর্মতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
রাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি

পেনশন ও বেতন-ভাতার টাকা নিয়ম বহির্ভূতভাবে আটকে রাখার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানসহ শীর্ষ ছয় কর্মকর্মতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের স্ত্রী ও শেখ রাসেল মডেল স্কুলের সাবেক অধ্যক্ষ মোমেনা জীনাত বাদী হয়ে রাজশাহী যুগ্ম জেলা জজ আদালত-১-এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী নুর-এ কামরুজ্জামান ইরান জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১৯ অক্টোবর বিবাদীদেরকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন।

মামলার বিবাদীরা হলেন, উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এম এ বারী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. আবুল হাসান চৌধুরী এবং শেখ রাসেল মডেল স্কুলের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোসা. লিসাইয়া মেহজাবীন। এ ছাড়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে রেজিস্ট্রারকে মামলায় বিবাদী করা হয়েছে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মোমেনা জীনাত ১৯৯৮ সালের ১ মার্চ শেখ রাসেল মডেল স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৫ সালে তিনি স্কুলটির অধ্যক্ষ পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের জুনে তিনি অবসরে যান।

বিধি অনুযায়ী তিনি ২০১৯ সালের জুন মাসের বকেয়া বেতন, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত এক বছর বকেয়া বেতনসহ অন্যান্য আর্থিক পাওনা বাবদ ৪৫ লাখ ৬১ হাজার ৯৪৫ টাকা পাবেন। এই টাকা প্রাপ্তির জন্য তিনি রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু, তিনি আবেদনের প্রেক্ষিতে কোনো অর্থ পাননি এবং চিঠির জবাবও পাননি।

এরপর বিভিন্নভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাননি মোমেনা জীনাত। এ অবস্থায় তিনি প্রাপ্য অর্থ পাওয়ার জন্য মামলাটি দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে ফোন করা হলে তারা ফোন ধরেননি। পরে মামলার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমানের মাধ্যমে তার বক্তব্য জানিয়েছেন।

উপাচার্যের বরাত দিয়ে অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান জানান, মামলার বিষয়ে তারা অবগত হয়েছেন। যেহেতু আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বিষয়টি বিচারাধীন। তাই এই বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য নেই। তারা তাদের বক্তব্য আদালতে তুলে ধরবেন।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago