মেসিকে অন্য কোনো জার্সিতে কল্পনাও করতে পারেন না পিয়ানিচ
কয়েক মাস আগে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়া মিরালেম পিয়ানিচ মুখিয়ে আছেন লিওনেল মেসির সঙ্গে খেলতে। বসনিয়া-হার্জেগোভিনার তারকা মিডফিল্ডার বলেছেন, রেকর্ড ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে অন্য কোনো জার্সিতে কল্পনাও করতে পারেন না তিনি।
গেল জুনে ৬৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইতালিয়ান সিরি আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস ছেড়ে বার্সেলোনায় নাম লেখান পিয়ানিচ। এরপর তিনি আক্রান্ত হন করোনাভাইরাসে। তাই ক্যাম্প ন্যুতে যোগ দিতে কিছুটা দেরি হয়েছে তার। সেরে উঠে গেল সপ্তাহে নতুন ক্লাবের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে পিয়ানিচকে গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করেছে বার্সা। তাকে দেওয়া হয়েছে ৮ নম্বর জার্সি। এক সময় এই জার্সি শোভা পেত কিংবদন্তি স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার গায়ে। এই জার্সির সবশেষ মালিক ছিলেন জুভেন্টাসে পাড়ি জমানো ব্রাজিলের আর্থুর।
পরিচিতি অনুষ্ঠানে পিয়ানিচ বলেছেন, তার বার্সায় যোগ দেওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ ছিল মেসির সঙ্গে খেলার আকর্ষণ, ‘আমি মেসিকে অন্য কোনো জার্সিতে কল্পনাও করতে পারি না।... আমার লক্ষ্য ছিল মেসির সঙ্গে খেলা। বার্সায় পাড়ি জমানো নিয়ে আমার মনের মধ্যে কোনো সংশয় ছিল না।’
যে মেসির সঙ্গে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে মাঠ মাতানোর উদ্দেশ্য নিয়ে পিয়ানিচ স্পেনে গিয়েছেন, সেই মেসিই কয়েক দিন আগে বার্সা ছাড়তে মনস্থির করেছিলেন। আজীবনের ক্লাবের সঙ্গে দুই দশকের সম্পর্কের ইতি টানতে চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৭০০ মিলিয়ন রিলিজ ক্লজ নিয়ে জটিলতার কারণে বাধ্য হয়েই তাকে থেকে যেতে হয়েছে ক্যাম্প ন্যুতে।
তবে পিয়ানিচের দৃষ্টিতে, বার্সাই মেসির আশ্রয়স্থল, ‘মেসির সঙ্গে যা যা ঘটেছে, সেসব আমি পড়েছি। এই ক্লাবকে সঙ্গে নিয়ে তিনি যে গল্প লিখেছেন, তা অসাধারণ। তিনি একজন চ্যাম্পিয়ন, তিনি একজন বিজয়ী। আমি মনে করি, এটাই তার ঘর। তাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা শিরোপা জেতার চেষ্টা করব।’
এমনিতেই বার্সার স্কোয়াড বয়সের ভারে ন্যুব্জ। দলটির সেরা তারকা মেসির বয়স ৩৩ পেরিয়েছে। মূল একাদশের নিয়মিত মুখদের মধ্যে জেরার্দ পিকে, লুইস সুয়ারেজ ও সার্জিও বুসকেতসের বয়সও আশেপাশে। তাই ৩০ বছর বয়সী পিয়ানিচকে দলভুক্ত করায় হয়েছে জোরালো সমালোচনা।
এ প্রসঙ্গে পিয়ানিচ পাল্টা জবাব না দিয়ে যোগ করেছেন, ‘এখানে ছয় বছর বয়সে আসতে পারলে আমারও ভালো লাগত। কিন্তু দলবদলের বাজারটাই এমন। এখন পর্যন্ত ভালো একটি ক্যারিয়ার কাটিয়েছি এবং আমি আমার সাবেক ক্লাবগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে আমি সবচেয়ে বড় ক্লাবে পৌঁছেছি এবং আমি আনন্দিত।’
Comments